আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। এর জন্য আপনার কোন ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে না।
শুধুমাত্র হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্যে বেশ কয়েকটি উপায়ে আপনি মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এভাবে মোবাইল থেকে টাকা আয় করার অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি যেকোন জায়গায়, যেকোন স্থানে বসে আয় করতে পারবেন।
আর মোবাইলে আয় করার জন্য স্মার্টফোনের পাশাপাশি আপনার থাকতে ভাল ইন্টারনেট সুবিধা।
এই পোস্টে যা যা থাকছে-
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় (How to earn money from mobile phone)
স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করার পাশাপাশি আমাদের নানাভাবে অনলাইনে আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
আমরা সকলেই চাই আমাদের হাতে এক্সট্রা টাকা আসুক। একটি ফোন আমাদের এই সুবিধা করে দিয়েছে। অনেকেই শুধুমাত্র মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করে দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করছেন।
মোবাইল যেমন আমরা সময়ের অপচয় করতে ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি এই মোবাইল দিয়ে প্রচুর টাকাও ইনকাম করা যায়।
আপনি একটি মোবাইল দিয়ে সহজেই কমপক্ষে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার এর থেকেও অনেক বেশিও আয় করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অনেক উপায় আছে। আপনি একটু চেষ্টা করলেই সহজেই অনলাইনে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাদের কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই।
আবার অনেকে আছেন, যাদের এগুলো কেনার মত কোন সামর্থ্য থাকে না। তখন তারা তাদের মোবাইল ব্যবহার করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়, তা আমরা এই ব্লগে জানতে পারব। দেখে নিন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়গুলিঃ
আরো পড়ুনঃ দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
১. ব্লগিং করে আয়
অনলাইনে ইনকাম করার এর থেকে সহজ উপায় আর একটিও নেই। আপনি যেকোন বিষয়ে লিখে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
আর ফুল টাইম বা পার্ট টাইম ব্লগার হিসেবে লিখতে পারেন।
একজন ব্লগার মাসে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগ লিখে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম পছন্দ করে নিতে হবে।
আপনি Blogger, WordPress, Wix, Squarespace ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্ম গুলির যেকোন একটির মাধ্যমে আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলতে হবে।
এরপর একটি ভাল ডোমেইন ও হোস্টিং এর সাথে যেকোন প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট যুক্ত করতে হবে। তবে Blogger প্ল্যাটফর্মে হোস্টিং যুক্ত করার প্রয়োজন নেই।
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটি খুব সুন্দর ও গোছনোভাবে তৈরি করে নিয়মিত সেখানে পোস্ট দিয়ে যেতে হবে।
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, সেগুলি যেন ১০০% ইউনিক হয়।
আর তাতে যেন যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য থাকে। এরপর আপনার ব্লগে এসইও এর মাধ্যমে ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
কি কি উপায়ে ব্লগিং করে আয় করা যায়?
আপনি খুব সহজে আপনার হাতের মোবাইল দিয়েই ব্লগ লিখতে পারবেন। যে সকল উপায়ে আয় করতে পারবেন-
১) ব্লগে গুগল এডসেন্স লাগিয়ে।
২) স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
৩) আপনি আপনার ব্লগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
৪) আপনি আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করে।
৫) আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার জন্য, প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস বিক্রি করে।
৬) আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট ফ্লিপার (Flippa.com) মত ওয়েবসাইটে বিক্রি করে।
২. ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আজকাল অনেকেই ঘরে বসে ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করছে। বর্তমান বিশ্বে ইউটিউবে প্রতিদিন হাজার হাজার কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যুক্ত হচ্ছেন।
এখানে যেকেউ চাইলেই একটি চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন। আর এখানে চ্যানেল খোলা একদম ফ্রি।
আপনি আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে যেকোন ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন। আবার সেই ভিডিও মোবাইল দিয়েই এডিটিং করতে পারেন।
সেগুলি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে নানা উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করা যায়, এমন কয়েকটি এপস হলঃ
Canva, Capcut, Inshot ইত্যাদি। এই এপস গুলি এন্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় ভার্সনেই আছে।
ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকামের উপায়গুলি হলঃ
১) Youtube Partner Program এ যুক্ত হয়ে গুগল এডসেন্স সহ নানা উপায়ে ইনকাম।
২) অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) এর মাধ্যমে।
৩) নিজের পণ্য বিক্রি করে।
৪) ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে।
৫) স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
৩. সার্ভে করে আয়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একটি অন্যতম মাধ্যম হল সার্ভে করে ইনকাম।
অনলাইনে সার্ভে ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে যুক্ত হয়ে আপনি ভাল পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি শুধু আপনার মতামত শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।
এই সার্ভে ওয়েবসাইট গুলি থেকে টাকা উইথড্র করাও অনেক সহজ।
সার্ভে ওয়েবসাইটগুলিতে সার্ভে করার পাশাপাশি ভিডিও দেখে, গেম খেলে, ইমেইল পড়ে ইত্যাদি টাস্ক করেও ইনকাম করা যায়।
সার্ভে করে ইনকাম করা যায়, এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ হলঃ
- Swagbucks
- InboxDollars
- Google Opinion Rewards
- Mylead
- Valued Opinions
- Life Points
- YouGov
৪. ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে মোবাইলে ইনকাম
আপনি ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে আপনি যেকোন ক্যাটাগরির ভিডিও দিতে পারেন।
ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা, এডিটিং করা, সকল কিছুই মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
একটি ফেসবুক পেজ খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে, In-Stream Ads লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনাকে অবশ্যই ফেসবুকের Community Standards মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এছাড়া আপনাকে Partner Monetization Policies মেনে অরিজিনাল কন্টেন্ট দিতে হবে।
যেসকল উপায়ে ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করা যায়
১) ভিডিওতে অন্যের পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা করে বা স্পন্সরশীপ হিসেবে কাজ করে।
২) নিজের পণ্য বিক্রি করে।
৩) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
৪) ভিডিওতে ওয়েবসাইটের প্রচারণা করে।
৫) ডিজিটাল প্রডাক্ট ( অনলাইন কোর্স, ডাউনলোডেবল কন্টেন্ট) বিক্রি করে।
এছাড়াও ফেসবুক reels ভিডিও থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার উপায়
৫. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করে খুব সহজেই আয় করা যায়।
আপনি আপনার পণ্য, সার্ভিস, কন্টেন্ট ইত্যাদি ইমেইলের মাধ্যমে ভিজিটরের কাছে পৌছানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
ইমেইলের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য, কন্টেন্ট, সার্ভিসের আপডেট, নিউজ, অফার ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন।
এতে করে আপনি বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন। আর আপনার ইনকাম কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটরদের আপনার ইমেইলে Subscription করতে হবে। ভিজিটরেরা subscribe করলে আপনি তাদের ইমেইল লিস্ট আকারে পাবেন।
এছাড়া আপনি অন্য কোন জায়গা থেকে ইমেইল সংগ্রহ করেও আপনার লিস্টে যুক্ত করতে পারেন। কয়েকটি প্রসিদ্ধ ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস ওয়েবসাইট হলঃ
- Mailchimp
- Constant Contact
- Mailerlite
- Drip
- Mailpoet
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যেভাবে মোবাইল থেকে ইনকাম করতে পারবেন
১) এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রডাক্ট এর প্রচারণা করতে পারবেন ও পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
২) আপনি যদি খুব ভালভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru ইত্যাদি ফ্রিল্যান্স সাইটে এর কাজ পাওয়া যায়।
৩) ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
৪) আপনি আপনার ইমেইল subscriber লিস্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
৬. Google maps এর মাধ্যমে আয়
Google maps এর মাধ্যমে যেকোন ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান, বাড়ি ইত্যাদির লোকেশন, Address, ছবি, ফোন নাম্বার, ব্যবসার সময়, ঠিকানার Direction, Google reviews ইত্যাদি সেট করা যায়। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে এই কাজটি ঘরে বসে করতে পারবেন।
এই কাজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে গুগল ম্যাপ এ যেতে হবে। এরপর Add your business এ ক্লিক করে এটি করতে হয়। এতে করে ভিজিটর বা কাস্টমারেরা সহজেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফোন নাম্বার, লোকেশন, Google reviews দেখতে পায়। আর এতে করে আপনার কোম্পানীর প্রসারতা বাড়ে।
আপনি যদি Google maps এ অনেক দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে মোবাইল থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
Google maps এর কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি। আর আপনি বেশি রেটে এই কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব।
৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল, যেখানে আপনি অন্য কোন কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রচারণা করে থাকেন।
কেউ যদি যখন সেই লিংক এর মাধ্যমে সেই পণ্য বা সার্ভিস কিনে, তখন আপনি একটি কমিশন বা লাভ করে ইনকাম করতে পারেন।
এই কমিশন, বিক্রি প্রাইজ অথবা ফিক্সড প্রাইজের উপর হয়ে থাকে।
মোবাইল দিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সহজেই করা যায়।
এখানে যেহেতু কোন রিস্ক থাকেনা, আর সহজেই এটি করা যায়। তাই এর এত জনপ্রিয়তা বেশি।
বিভিন্ন নামকরা কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট অফার করে।
আপনি সেই সকল কোম্পানীর এর কাছ থেকে Affiliate links সংগ্রহ করে সহজেই প্রচারণা করে, তাদের পণ্যটি বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাফেলিয়েট লিংকটি আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, টিকটক ভিডিও, Newsletter, Podcast ইত্যাদিতে প্রচারণা করতে পারেন।
যাতে করে সহজেই আপনি কাস্টমার পেয়ে যাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার কয়েকটি ওয়েবসাইট হল-
- Amazon associates
- Shopify
- Ebay
- Rakuten Advertising ইত্যাদি
৮. ড্রপশিপিং করে ইনকাম
আজকাল খুব জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের মাধ্যম হল ড্রপশিপিং।
এর মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার নিজের পন্য, দোকান, কর্মচারি, ডেলিভারি ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন।
আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই আপনি ড্রপশিপিং এর এই কাজটি করতে পারবেন।
আপনাকে শুধু পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
আর সেটির মার্কেটিং আপনি ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে করতে হবে।
তবে পণ্যের অর্ডার থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত কোন ঝামেলাই আপনাকে পোহাতে হবে না।
পন্য বিক্রি হলে আপনি শুধু লাভ পাবেন। ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এখন একদম সহজ হয়ে গিয়েছে।
অনেকেই এটি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। কয়েকটি ড্রপশিপিং করে ইনকাম ওয়েবসাইট হল-
- Shopify
- Dropshop
- Spocket
- Printify
- Salehoo
- Doba
- Trendsi
- Gelato
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
৯. ফ্রিল্যান্সিং করে আয় – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আমরা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানি।
এটি একটি মুক্ত বা স্বাধীন পেশা। আজকাল ফ্রিল্যান্সিং করতেও ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় না।
আপনি চাইলে অনেক কাজ আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
এখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা যায়।
এটি করতে মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আর আপনি আপনার মোবাইল দিয়েই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক কাজ পাওয়া যায়। আয় করার জন্য, আপনাকে প্রথমে সেই কাজগুলি শিখতে হবে। যে কাজগুলি মোবাইল দিয়ে করা যায়। আগে জানতে হবে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো?
মোবাইল দিয়ে যে কাজগুলি করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়-
১. ডাটা এন্ট্রি
২. ইমেইল মার্কেটিং
৩. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
৪. ডাটা অ্যানালাইসিস
৫. অনলাইন টিউটর
৬. গুগল সাইটম্যাপ
৭. ট্রান্সলেটর
৮. ওয়েব অ্যানালাইটিক
৯. ভিডিও এডিটিং
১০. এসইও
১১. ডিজিটাল মার্কেটিং
১০. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
আপনি যদি খুব ভাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য সুসংবাদ। আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে আপনার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে হবে। আর সেই ছবিগুলি অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে দিতে হবে।
অনলাইনে ছবি তুলে ইনকাম করার পদ্ধতি-
১. ভাল মানের ছবি মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে তোলাঃ
সবার প্রথমে আপনাকে খুব ভাল মানের ছবি আপনার মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে তুলতে হবে। আপনি যেকোন ধরনের ছবি তুলতে পারেন।
আপনার ঘরের ছবি, বাইরের ছবি, শহর, গ্রাম, পাখি, নদী ইত্যাদি ছবি তুলতে পারেন।
২. মার্কেটপ্লেসে ছবি আপলোড দেওয়াঃ
এরপর এগুলি অনলাইনের বিভিন্ন ফটো মার্কেটপ্লেসে আপলোড করে দিতে হবে। যখন কেউ সেই মার্কেটপ্লেস থেকে ছবি কিনবে বা ডাউনলোড করবে।
তখন আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে। ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার কয়েকটি প্রসিদ্ধ মার্কেটপ্লেস হল-
- Freepik
- Depositphotos
- Gettyimages
- Istock
- Pond5 ইত্যাদি।
আপনি যত বেশি ছবি মার্কেটপ্লেসে আপলোড দিবেন। আপনার ছবি বিক্রি তত বাড়বে।
আর আপনার আয় তত বাড়বে। এভাবে আপনি প্রতিমাসে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। ছবি বিক্রি করে অনায়েসেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
৩. টাকা উইথড্র মাধ্যম সেট করাঃ
আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা ব্যাংক, Paypal, Payoneer, বিকাশ ইত্যাদি মাধ্যমে নিতে পারবেন।
১১. কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আপনার যদি লেখার হাত অনেক ভাল হয়। আপনি যদি যেকোন টপিকের উপর খুব ভাল লিখতে পারেন।
তাহলে এই রাইটিং বা লেখালেখি করে মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি মোবাইল দিয়েই টাইপ করে লিখতে পারেন।
যেকোন ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য কন্টেন্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্লগ লিখে সেই প্রতিষ্ঠানটিকে গুগলে rank করানো যায়।
আপনি ভালো লিখতে পারলে যে সকল উপায়ে আয় করতে পারবেনঃ
১. ফ্রিল্যান্সার হিসেবেঃ ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারবেন।
Upwork, Guru, Fiverr ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট রাইটারের ব্যাপক চাহিদা। আপনি এখানে টাকার বিনিময়ে লিখতে পারেন।
এখানে বিভিন্ন রেটে আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারেন।
সাধারণত একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে ৫ ডলার থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। তাই বুঝতেই পারছেন, এখানে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
২. ব্লগিং করেঃ আপনি ভাল লিখতে পারলে, নিজেই একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলে তাতে Google Adsense এর এড লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
৩. সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেঃ সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখে আপনি পেজের রিচ বাড়াতে পারেন।
আর পেজের রিচ বাড়লে আপনার ব্যবসার উন্নতি সাধন সম্ভব হবে।
৪. ই বুক লিখেঃ আপনি যদি ভাল গল্প, উপন্যাস লিখতে পারেন।
তাহলে বিভন্ন ই-বুক প্ল্যাটফর্মে আপনার লেখাগুলি দিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
আর আপনার আয় করা টাকা সরাসরি আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেন। কয়েকটি ই-বুক লিখে টাকা ইনকাম প্ল্যাটফর্ম হল-
- Kindle Direct Publishing (KDP)
- Smashwords
- Kobo ইত্যাদি
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা পেতেঃ
আপনি যদি একজন একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে চান, তাহলে আপনি আপনার পণ্য ও সার্ভিস সম্পর্কে ভাল ভাল কথা লিখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করান।
আপনার এই লেখা পড়ে কেউ আপনার এফিলিয়েট পণ্য কিনলে আপনার ইনকাম হবে।
১২. পুরাতন পণ্য বিক্রি করে ইনকাম
আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাও আবার একদম সহজ উপায়ে।
আজকাল আপনার মোবাইল দিয়েই আপনি আপনার ঘরের যেকোন পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না।
আপনি অপ্রয়োজনীয় ফার্নিচার, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারেন।
এখানে আপনাকে শুধু আপনার পণ্যের ছবি তুলে সেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে দিতে হবে। আর সাথে বিস্তারিত তথ্য ও ফোন নাম্বার দিতে হবে।
কেউ পণ্য দেখে কিনতে রাজি হলে, আপনার বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারবে।
এতে করে আপনার একটি পুরাতন ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়ি থেকে দূর হবে ও টাকাও ইনকাম হবে।
এছাড়া আপনি কমদামে কোন পণ্য কিনে এই সকল ওয়েবসাইট বা এপে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এমন কেনাবেচার ওয়েবসাইট হল Bicroy.com.
১৩. ভিডিও এডিটিং করে আয়
আপনি যদি খুব ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কেননা ভিডিও এডিটিং এর কাজ আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটরের ব্যাপক চাহিদা।
আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করেই প্রায় সকল ধরনের ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
যে সকল মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করা যায় তা হলঃ
- Canva
- Capcut
- Inshot
- imovie
- Gopro quick
- Kine Master
- You cut
- Splice
আপনি ভিডিও এডিটিং করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
১৪. অনলাইন টিউশনি করে – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
অনলাইনে টিউশনি করে ইনকাম করাটা আপনার জন্য একটি সেরা ইনকামের মাধ্যম হতে পারে।
আপনার যদি ভালো শেখানোর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ছাত্র জোগাড় করে শেখানো শুরু করে দিতে পারেন।
আপনি গণিত, ইংরেজি, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি বিষয়ে শেখাতে পারেন।
এটা সরাসরি জুম মিটিং এপস এর মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে করতে পারেন। আবার কোর্স আকারে অনলাইনে বিক্রি করেও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিউশনি করিয়ে অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কারণ এখানে আপনার কোন এক্সট্রা ঘর লাগছে না।
যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো সময় আপনি টিউশনি করতে পারবেন।
আপনি একবার জনপ্রিয় হলে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১৫. ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে
Instagram খুবই জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের জন্য আপনাকে এখানে নিয়মিত ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে হবে
আর আপনার ফলোয়ার বাড়াতে থাকতে হবে।
যখন আপনার অনেক ফলোয়ার বেড়ে যাবে আর আপনার এনগেজমেন্ট অনেক বেড়ে যাবে।
আপনি একজন ছোট Influencer হয়েও এখান থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যে সকল উপায় ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেনঃ
১) স্পনসর কনটেন্টের মাধ্যমে
আপনি আপনার ফলোয়ারদের কাজে লাগিয়ে স্পন্সর কনটেন্ট, ব্রান্ড প্রোডাক্ট, সার্ভিস এর প্রমোশন করে ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার ফলোয়ার যত বেশি হবে আপনি তত বেশি আয় করতে পারবেন।
২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে
Instagram এর মাধ্যমে অ্যাফেলিয়েট প্রোডাক্ট লিংক এর প্রোমোশন করে সেল বা বিক্রি বাড়িয়ে আয় করতে পারবেন।
৩) নিজের পণ্য বিক্রি করে
আপনি ইনস্টাগ্রাম শপ ব্যবহার করে আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন
এখানে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর ক্যাটালগ, প্রাইস, বর্ণনা দিতে পারবেন।
কাস্টমারেরা সরাসরি আপনার Instagram একাউন্ট থেকে পণ্যটি কিনতে পারবে।
৪) রিলস ভিডিও এর মাধ্যমে
Instagram এ রিলিস ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার ভিডিওতে যত বেশি ভিউ হবে আপনার তত বেশি টাকা ইনকাম হবে।
সেই টাকা আপনি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সহজেই তুলতে পারবেন।
১৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
সারা পৃথিবীতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের ব্যাপক চাহিদা।
আপনি এর মাধ্যমে আপনার ক্লায়েন্টের বিভিন্ন কাজ ঘরে বসে করে দিতে পারেন।
এটাকে আপনার ফুল টাইম পেশা হিসেবে নিতে পারেন।
আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর জন্য যে সকল দক্ষতার ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ করতে পারেনঃ
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ইমেইল ম্যানেজমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- ট্রান্সলেশন
- মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং
- ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড মেন্টেনেন্স
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কাস্টমার সার্ভিস
- কনটেন্ট ক্রিয়েশন
- ইভেন্ট প্ল্যানিং ইত্যাদি
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের কাজের সকল বিষয়ে সহায়তা প্রদান করার দক্ষতা থাকতে হব।
যেসকল মার্কেটপ্লেসে ভার্টুয়াল এসিস্টেন্টের কাজ পাওয়া যায়ঃ Upwork, Fiverr, Etsy, Amazon ইত্যাদি
১৭. ফেসবুক ও গুগলে পেইড প্রমোশন করে
গুগল এডস (Google ads) ও ফেসবুক এডস (Facebook Ads) এর মাধ্যমে পেইড প্রমোশন করে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ইনভেস্ট করতে হবে।
আপনি আপনার নিজের পণ্যের এভাবে প্রচারণা করে বিক্রি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সামান্য বিনিয়োগে অধিক লাভ করা সম্ভব।
শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়। অন্যের জন্য এই কাজ করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করে নিতে পারবেন।
এই কাজটি মোবাইলের অ্যাপ দিয়ে সহজেই করতে পারবেন। আর এর চাহিদা অনেক বেশি। আর ইনকাম অনেক বেশি।
১৮. ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করে
মোবাইলে টাকা ইনকাম করার জন্য এর থেকে সহজ ও লাভদায়ক ব্যবস্থা আর একটিও নেই।
ফেসবুকে যেকোন পণ্য বিক্রি করা অনেক সহজ। কারণ এখানে অনেক অনেক ইউজার বা কাস্টমার পাওয়া যায়।
আপনি খুব সহজে আপনার মোবাইল দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খুলে, সেখানে আপনার পণ্য সম্পর্কিত পোস্ট করে বিক্রি করতে পারেন।
এখানে যেহেতু আপনার দোকান ভাড়া, কর্মচারী ভাড়া, ইউটিলিটি বিল লাগছেনা। তাই আপনি পণ্যটি অনেক কম দামেও বিক্রি করলেও আপনার প্রচুর লাভ থাকবে। আর দাম কম হওয়ায় পণ্যটির বিক্রি অনেক বেশি পরমাণ হবে।
তবে আপনাকে পেজের পেইড প্রমোশন করতে হবে ও এর ফলোয়ার বাড়িয়ে নিতে হবে। এছাড়া পোস্ট বুস্টিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে করে আপনার বিক্রি অনেক ভাল হবে। আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ফেসবুকে যেকোন জিনিস বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ জামা কাপড়, জুতা, কসমেটিকস, খেলনা, ডায়াপার ইত্যাদি।
FAQ: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
শুধুমাত্র মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ভাবে টাকা আয় করা যায়?
হ্যাঁ অবশ্যই। আপনার যদি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র মোবাইল দিয়েও অনেক সহজ এই কাজগুলি করে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে প্রফেশনালি কাজ করার জন্য ডেস্কটপ ও মোবাইল উভয় থাকলেই ভাল হয়।
মোবাইল দিয়ে আয় করা টাকা কিভাবে হাতে পাব?
আপনি আপনার আয় করা টাকা বিকাশ, পেটিএম, Paypal, Payoneer, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি মাধ্যমে হাতে পাবেন।
শেষকথা – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
অনলাইনে ইনকামের শেষ নেই। আপনার যদি আয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকে, তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর এটাকে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবেও নিতে পারবেন। তবে আপনাকে লেগে থাকতে হবে, আর কাজ ভালভাবে শিখতে হবে। এরপর চেষ্টা করতে থাকতে হবে। সফলতা অবশ্যই আসবে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট