অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জব করে ইনকাম করা এখন একদম সহজ।

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা শুধুমাত্র ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ ছাড়া অন্য কাজের ভবিষ্যত নেই।

আর সেখানে তারা ডাটা এন্ট্রির কাজকে খুবই তুচ্ছ করে দেখেন।

তাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা এই কাজ করে খুবই কম টাকা পাওয়া যায়।

আর এই কাজের কোন ভবিষ্যত নেই। কিন্তু তারা কি আসলেই সঠিক টা জানেন?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব সহজেই পাওয়া যায়।

এছাড়া আরো নানা ধরনের ওয়েবসাইটে এই কাজ করে ইনকাম করা যায়।

এই কাজের সবথেকে ভাল দিক হল, এই কাজ করতে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়না।

আর যেকেউ চাইলেই এই কাজ করতে পারেন।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ

ডাটা এন্ট্রি কি?

সবথেকে সহজ অনলাইন কাজ হল ডাটা এন্ট্রি (Data Entry)। এখানে আপনি যদি বেসিক কম্পিউটার আর টাইপিং করতে জানেন।

তাহলেই আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি আপনার মোবাইল দিয়েও ডাটা এন্ট্রি করতে পারবেন।

তবে ডাটা এন্ট্রির কাজ মানে যে শুধু টাইপ করা তা নয়। এখানে আপনাকে হয়তো অনলাইন থেকে ডাটা সংগ্রহ করে।

বায়ারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা সীটে সংরক্ষণ করতে হয়। প্রায় সকল প্রসিদ্ধ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়।

আর এই কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। অনেক ফ্রিল্যান্সার শুধু ডাটা এন্ট্রি করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছেন।

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম

How to Make Money with Online Data Entry Jobs?

ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আপনাকে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

এই কাজের জন্য আপনার তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

আপনি যদি মোটামুটি কম্পিউটার বা মোবাইলে টাইপিং করতে পারেন।

তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি করতে পারবেন। দেখে নিন ডাটা এন্ট্রি করতে মূলত কি কি জানতে হবে-

১. বেসিক টাইপিং জানতে হবে। আপনার টাইপিং এর স্পিড যত বেশি হবে, তত ভাল।

২. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইমেইল (email), ওয়েবসাইট ইত্যাদি বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে।

৩. Google Docs, Google Sheets, Google Drive, Google slides এর মত গুগল সার্ভিসগুলি সম্বন্ধে ভালভাবে জানতে হবে।

৪. Word to Pdf, Pdf to Exel ইত্যাদি কনভার্টার টুলস সম্বন্ধে জানতে হবে।

৫. আপনাকে নির্ভুল ও Error Free ভাবে টাইপিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে সর্বদা ভাল যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।

৭. টাইম ম্যানেজমেন্ট (Time Management) এর দক্ষতা থাকতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি জব করে ইনকাম করার ওয়েবসাইট

এই কাজের ব্যপকতা অনেক। প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি এই কাজ করে আয় করতে পারবেন।

আর এই মার্কেটপ্লেসগুলিতে কাজ করা করাও অনেক সহজ। ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করার ওয়েবসাইট অনেক রয়েছে।

এদের মধ্যে সবথেকে ভাল ১২টি ওয়েবসাইট হল-

  • Upwork
  • Freelancer.com
  • People Per Hour
  • Guru
  • Fiverr
  • Seoclerks
  • Mega Typers
  • REV
  • SimplyHired
  • CapitalTyping
  • FreeUp

কয়েকটি অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব (Data Entry Jobs)

বিভিন্ন উপায়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা যায়। যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করেন।

এদের মধ্যে একটা বড় সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার এই কাজ করে থাকেন।

এই কাজের রেট কম হলেও কাজের সংখ্যা অনেক বেশি। আর প্রায় সকল মার্কেটপ্লেসেই ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। ডাটা এন্ট্রির কাজগুলি হল-

  • কপি পেস্ট জব (Copy Paste Work)
  • ডাটা মাইনিং (Data Mining)
  • ডাটা স্ক্রাপিং (Data Scraping)
  • ক্যাপচা এন্ট্রি (Captha Entry)
  • ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)
  • সি এম এস ডাটা এন্ট্রি (CMS Data Entry)
  • Image-to-text recognition
  • Translator
  • Caption Entry
  • পিডি এফ টু এক্সেল ও পিডিএফ টু ওয়ার্ড কনভারশন (Pdf to Word, Pdf to Exel Convertion)
  • ওয়েব রিসার্চ (Web Research)
  • ই কমার্স প্রোডাক্ট লিস্টিং, প্রোডাক্ট আপলোড (Product Listing)
  • লিংকডইন ডাটা এন্ট্রি (Linkedin Data Entry)
  • বিটুবি লিড জেনেরেশন (B2B Lead Generation)
  • ভার্টুয়াল সহকারী (Virtual Assistant) ইত্যাদি

১) কপি পেস্ট জব (Copy Paste)

এই কাজে বায়ার বিভিন্ন ডাটার এক্সেল শীট (Exel Sheets) দিয়ে থাকে। সেটা দেখে দেখে বিভিন্ন অ্যাপে বা সফট ওয়ারে ডাটা বসাতে হয়। এক্ষেত্রে কোন জায়গায় কোন ডাটা বসাতে হবে তা আপনাকে বুঝে নিতে হবে।

কপি পেস্ট করে কাজ করা খুবই সহজ। ইন্টারনেট সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকলে এই কাজ করা সম্ভব।

এই কাজ আপনি যেকোন স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে এই কাজই বায়ার বেশি করায়। এই কাজটি তুলনামূলক অনেক সহজ।বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে Copy paste job লিখে সার্চ করলে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ

২) ডাটা মাইনিং (Data Mining)

এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডাটা খুঁজে নিয়ে তা এক্সেল শীটে এন্ট্রি করতে হয়।

ডাটা মাইনিং এর কাজ সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে অন্যের ডাটা আপনাকে সার্চ টার্মের মাধ্যমে খুঁজে বের করে। তা বায়ারের জন্য তৈরি করতে হয়।

ডাটা মাইনিং এর কাজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কেননা বায়ারের নানা প্রয়োজনে এটি করতে হতে পারে। Guru, Fiverr, Peopleperhour ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে এই কাজ পাওয়া যায়।

৩) ডাটা স্ক্রাপিং (Data Scraping)

যে ডাটা গুলি ওয়েবসাইটে দেখা যায়না। যেমনঃ ইমেইল অ্যাড্রেস, ফোন নাম্বার তা ডাটা স্ক্রাপিং সফটওয়ার বা এক্সটেনশনের মাধ্যমে খুঁজে বের করা যায়।

ডাটা মাইনিং এর পর ডাটা স্ক্রাপিং এর কাজ খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন সফটওয়ার, টুলস ও এক্সটেশনের মাধ্যমে ফ্রিতেই ডাটা স্ক্রাপিং করা যায়। Fiverr মার্কেটপ্লেসে সবথেকে বেশি এই কাজ পাওয়া যায়।

৪) ক্যাপচা এন্ট্রি (Captha Entry)

এটা দেখে দেখে টাইপ করার কাজ। আপনাকে অনেকগুলি ক্যাপচা দেওয়া হবে। আপনি শুধু দেখে পূরণ করবেন।

ক্যাপচা হিসেবে এখানে math বা সংখ্যা দিতে পারে। আপনি যত ক্যাপচা পূরণ করবেন। তত টাকা আয় করতে পারবেন। এই কাজটিতে তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয়না।

তবে এই কাজে খাটুনীর থেকে ইনকাম অনেক কম হয়ে থাকে। এই কাজ করে ইনকাম করার জনপ্রিয় ২টি ওয়েবসাইটগুলি হলঃ

  • 2captha
  • Mega Typers

৫) ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)

কোন ভিডিও বা অডিও শুনে তা টাইপিং করে লেখাকে ট্রান্সক্রিপশন।

বিশ্ব বাজারে এই কাজের খুবই চাহিদা। আপনিও চাইলেই এই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

আপনি কয়েকটা কাজ করলেই এই কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। সাধারণত Upwork, Mega Typers, REV ইত্যাদি ওয়েবসাইটে এই কাজ পাওয়া যায়।

৬) সি এম এস ডাটা এন্ট্রি (CMS Data Entry)

সি এম এস মানে হল কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। জনপ্রিয় সি এম এস হল ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল ইত্যাদি।

এখানে আপনাকে কোন ওয়েবসাইট বানাতে হবেনা। আপনাকে শুধু দেখে দেখে কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে এন্ট্রি করতে হবে।

সবথেকে বেশি যে সি এম এস এর কাজ পাওয়া যায় তার নাম হল ওয়ার্ডপ্রেস। আপনাকে শুধু ওয়ার্ডপ্রস বা অন্য কোন সি এম এসের ড্যাশবোর্ডে ঢুকে পোস্ট, ইমেজ, প্রডাক্ট আপলোড ও লিস্ট করতে হবে।

এখানে বায়ার আপনাকে তার ওয়েবসাইটের জন্য পোস্ট, পেজ, ক্যাটাগরি, ছবি ইত্যাদি দিয়ে দিবে।

আপনাকে তখন বায়ারের সি এম এস ওয়েবসাইটে তা সেট করতে হবে। এই কাজের কম্পিটিশন কম।

তাই এই কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়। তবে এই কাজ করতে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্য সি এম এস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখতে হবে। প্রায় সকল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজটি পাওয়া যায়।

৭) পিডি এফ টু এক্সেল ও পিডিএফ টু ওয়ার্ড কনভাররশন করে (PDF to EXEL and PDF to WORD)

এই কাজে পিডিএফ ফাইলের ডাটা ম্যানুয়ালি বা সফটওয়ারের মাধ্যমে এক্সেল ও ওয়ার্ডে রুপান্তর করতে হয়।

অনলাইনে এই রকম ওয়েবসাইট আছে। যারা এই সার্ভিসগুলি দিয়ে থাকে। এখানে বায়ার আপনাকে একটা পিডিএফ ফাইল দিয়ে বলে দিবে যে তা এক্সেলে বা ওয়ার্ডে রুপান্তর করতে হবে।

তখন আপনি অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তা করে তা বায়ারের জন্য তৈরি করতে পারেন। এই কাজটি অনেক সহজ। এই রকম কাজ খুব সহজেই করা যায়।

সহজ এই কাজটি Fiverr ওয়েবসাইটে সবথেকে বেশি পাওয়া যায়।

৮) ওয়েব রিসার্স (Web Research)

এই কাজটিই বেশির ভাগ বায়ার দিয়ে থাকে। এক্ষত্রে বায়ার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে এক্সেলে এন্ট্রি করতে বলে।

তখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট রিসার্স করে সেই ডাটা সংগ্রহ করতে হয়। যেমনঃ ইমেইল, ফোন, অ্যাড্রেস ইত্যাদি।

আপনি গুগল বা অন্য কোন সার্চ মাধ্যমে ওয়েব পর্যালোচনার কাজ করতে পারেন। সাধারণত গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই কাজ করা হয়ে থাকে।

Fiverr এ ওয়েব রিসার্চের কাজ প্রতিদিন পোস্ট হচ্ছে। এই কাজটি করেই মূলত ফ্রিল্যান্সারেরা অনেক টাকা আয় করছেন।

৯) ই কমার্স প্রডাক্ট আপলোড, প্রডাক্ট লিস্টিং (Product Listing)

বিভিন্ন ইকমার্স ওয়েবসাইটের প্রডাক্ট আপলোড, প্রডাক্ট ছবি আপলোড, প্রডাক্ট লিস্ট করা ইত্যাদির কাজ এই ডাটা এন্ট্রির কাজের মধ্যে রয়েছে।

যেমনঃ WordPress, Amazon, Ebay, Wix, Shopify  ইত্যাদি ই কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য প্রডাক্টের লিস্ট, বর্ণনা, ছবি ইত্যাদি সেট করতে হয়। প্রডাক্ট লিস্টিং এর কাজের ব্যপক চাহিদা। আপনি খুব সহজেই এভাবে সহজ ক্সজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গুরু, ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার ইত্যাদি সাইটে এই কাজ বেশি পাওয়া যায়।

১০) লিংকডইন ডাটা এন্ট্রি (Linkedin)

এর মাধ্যমে লিংকডইন প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য বের করে সেটা এক্সেল শীটে ডাটা এন্ট্রি করতে হয়।

এটি সাধারণত সোস্যাল মিডিয়া ডাটা এন্ট্রি নামে পরিচিত। এই কাজটির জনপ্রিয়তা অনেক। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এই কাজটি অনেক পাওয়া যায়।

১১) বিটুবি(B2B) লিড জেনারেশন এর মাধ্যমে

বিটুবি মানে হল Business to Business লিড জেনেরেশন।

এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসার ফলাফল, কম্পিটিটর, ইমেইল, ফোন ও অন্যান্য তথ্যে সংগ্রহ করে। তা শীটে সংগ্রহ করে বায়ারকে দিতে হয়।

লিড জেনেরেশন এর কাজের ছড়াছড়ি। এই কাজ করে খুব সহজে আয় করা যায়। ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি মার্কেটপ্লসেগুলিতে লিড জেনারেশনের কাজ খুজতে পারেন।

১২) ভার্টুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট (virtual assistant)

আপনি যদি সকল ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ পেরে থাকেন। তখন বায়ার আপনাকে তার সকল কাজের জন্য আপনাকে নিয়ে থাকবে। সেক্ষত্রে আপনাকে দীর্ঘদিনের জন্য আপনাকে নিয়ে থাকবে।

এই কাজের রেটও অনেক ভাল হয়। তবে অবশ্যই আপনাকে সকল কাজে দক্ষ হতে হবে। বায়ার এই কাজে ঘন্টাচুক্তিতে বেশি নিয়ে থাকে। আপনি একবার ডাটা এন্ট্রির ভার্টুয়াল এসিস্টেন্টের কাজ পেলে।

২ থেকে ৩ বছরের জন্য একই বায়ারের কাজে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। Seoclerks, Upwork, Freelancer ইত্যাদি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজ করতে পারেন।

 

ডাটা এন্ট্রি কাজ কোথায় শিখবো?

আপনি চাইলে ইউটিউব দেখে ফ্রিতে শিখতে পারেন। এছাড়া কোন অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করতে পারেন। আপনি খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারবেন। কাজ শেখা শেষে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ প্রাকটিস করতে হবে।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ দেখে নিজে নিজে তা করতে থাকুন।

একটা সময় এক্সপার্ট হলে কাজে নেমে পড়ুন। আর অনেক অনেক পোর্টফোলিও বা কাজের ডেমো তৈরি করুন। আর তারপর ডাটা এন্ট্রি জব করে ইনকাম করা শুরু করে দিন।

ডাটা এন্ট্রি জব করে কি সফল হওয়া যায়?

বড় বড় মার্কেটপ্লেস গুলিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ডাটা এন্ট্রির কাজ পোস্ট হয়।

আর এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। অনেক বড় বড় প্রোজেক্টও হয়ে থাকে।

এছাড়া আপনি চাইলে কোন প্রকার দক্ষতা ছাড়া ছোট ছোট ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। যেমন- ক্যাপচা এন্ট্রি, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি। তবে এই কাজগুলিতে ইনকাম অনেক কম থাকে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ বলতে আমরা সাধারণত টাইপিং এর কাজ বুঝে থাকি। তবে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। ডাটা এন্ট্রির কাজেও ক্রিয়েটিভিটি ও দক্ষতা দেখানোর জায়গা আছে।

FAQ,

১. মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে কি আয় করা সম্ভব?

অবশ্যই সম্ভব। আপনি চাইলে ঘরে বসে মোবাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। তবে যেকোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ কম্পিউটারে করলে গতি পায়। তাই প্রথমে মোবাইল দিয়ে শুরু করলেও, ধীরে ধীরে কম্পিউটারে (ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ) যান।

২. ডাটা এন্ট্রি শিখতে কতদিন লাগে?

এই কাজ শিখতে খুবই কম সময় লাগে। আমরা সাধারণত টাইপিং করতে সবাই জানি। আর word, exel, google sheets, web research ইত্যাদি আপনি ১০ থেকে ১৫ দিনেই শিখে নিতে পারবেন।

এগুলি সবই ইউটিউব দেখে শেখা সম্ভব। তবে যেকোন কাজ সময় নিলে শিখলে তা থেকে ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই আপনি কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে ডাটা এন্ট্রি শিখতে পারেন।

৩. ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট কি কি?

এটা করে ইনকাম করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে। যেমন- Upwork, Freelancer, Fiverr, Truelancer, Flexjobs, Freeup ইত্যাদি।

৪. ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

এটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। ইনকাম করার আগে আপনাকে এই কাজ সম্পর্কে আগে ভালভাবে ধারণা নিতে নিতে হবে।

ভালভাবে কাজটি শিখতে হবে। এরপর অনলাইনে কাজ খুঁজতে হবে।

প্রথম দিকে হয়তো আপনার ইনকাম কম হবে। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে ইনকাম অনেক বেড়ে যাবে।

অনেকেই আছেন, শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি করেই মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছেন।

উপসংহার

ডাটা এন্ট্রির এই কাজগুলি করতে অনেক পরিশ্রমের পাশাপাশি মেধাও খাটাতে হয়। আর তাই এই কাজ করেও অনেক ভাল আয় করা যায়।

এই কাজ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যাপারই না। তবে এর জন্য আপনাকে বেশি বেশি কাজ ধরা জানতে হবে।

আপনি যদি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন।

আপনাকে কোন একটি নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেসে কাজ করলেই হবেনা। আপনাকে একাধিক জায়গায় এই কাজ করতে হবে।

তবেই আপনিইনকাম করতে পারবেন অনেক বেশি পরিমাণে।

পোস্টটি শেয়ার করুন-