একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চের পাশাপাশি আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন এর দিকেও নজর দিতে হবে।
কেননা সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চের পরেও যদি কিওয়ার্ড ডেনিসিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন না করা হয়। তাহলে গুগলে সেই আর্টিকেল র্যাংক করা কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা এই আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ডেনিসিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আর ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে কিভাবে এগুলি মেনে ব্লগ লিখতে হয়, সেটাও জানব।
এই পোস্টে যা যা থাকছে-
আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি?
কিওয়ার্ড ডেনসিটি হল একটি ব্লগে মোট শব্দের তুলনায় কতবার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, তার হিসাব।
একটি ব্লগে সর্বোচ্চ ১ % কিওয়ার্ড ডেনসিটি থাকা উচিত। সুতরাং ১৫০০ শব্দের ব্লগে সর্বোচ্চ ১৫ বার ফোকাস কিওয়ার্ড থাকলে, কিওয়ার্ড ডেনসিটি হবে ১%।
এভাবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি নির্ধারণ করতে হয়। কিওয়ার্ড ডেনসিটি খুব বেশি হওয়া ভালো না।
যেমন ২%, ৩%, ৪%, ৫%। এই রকম বেশি হওয়া ভালো না।
বেশি বেশি কিওয়ার্ড ভিজিটরের চোখে পড়লে, তখন তিনি তা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননা। এতে করে সেই আর্টিকেলের বাউন্স রেট অনেক বেশি হয়।
আর তখন সেই পোস্টটি এসইও এর ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে।
আবার কিওয়ার্ড ডেনসিটি অনেকে কম হওয়া ভালো না।
অনেক কম কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে গুগল বুঝে উঠতে পারেনা।
আসলে কি নিয়ে ব্লগটি লেখা হয়েছে। এতে করেও ব্লগটি সহজে র্যাংক করেনা।
কেন আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি গুরত্বপূর্ণ
গুগল সব সময় চায়, তাদের ভিজিটরদের জন্য সঠিক সার্চ ফলাফল দেখাতে।
একটি ব্লগে বা আর্টিকেলে যদি সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি থাকে। তাহলে গুগল সেটি সহজেই বুঝতে পারে।
বেশি বেশি ফোকাস কিওয়ার্ড দিলে, গুগল স্প্যাম মনে করে। আর এতে পাঠক পড়তে বিরিক্ত হয়।
এতে করে তখন সার্চ রেজাল্টে ভিজিবিলিটি কমে যায়। তাই কিওয়ার্ড ডেনসিটি মেনে কিওয়ার্ড ব্লগে সেট করা উচিত।
ব্লগে কত পারসেন্ট কিওয়ার্ড ডেনসিটি সেট করতে হবে
একটি ব্লগ পোস্টে টাইটেল, হেডার, ভুমিকা, ডেস্ক্রিপশন, উপসংহার ইত্যাদিতে ফোকাস কিওয়ার্ড সব মিলিয়ে ১% ব্যবহার করতে হবে।
অর্থাৎ ১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেলের জন্য ১২ থেকে ১৫ বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
কিভাবে আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক করা যায়?
কিওয়ার্ড ডেনসিটি একটি আর্টিকেলের অনেক গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অবশ্যই কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে।
একটি ব্লগে যদি এর নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কিওয়ার্ড কম থাকে। তাহলে অবশ্যই কিওয়ার্ড সঠিকমাত্রার করে নিতে হবে।
প্রয়োজনে ব্লগে কিছু তথ্য আরো যুক্ত করে ব্লগটি বড় করতে হবে।
আর যদি ব্লগের সাইজ এর তুলনায় এর কিওয়ার্ড বেশি হয়ে যায়, সেক্ষত্রে কিওয়ার্ডের জায়গায় রিলেটেড শব্দ লিখে কিওয়ার্ড কমিয়ে ফেলতে হবে।
আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন কি?
কিওয়ার্ড ডেনসিটির মত কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন খুবই গুরত্বপূর্ণ। ডিস্ট্রিবিউশন বলতে বুঝায়, একটি ব্লগের সকল জায়গায় সমানভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।
অর্থাৎ একটি ব্লগের শুরুর দিকে দেখা গেল, অনেক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু মাঝের অংশে একদম কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হলো না।
আবার শেষের দিকে অনেক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হলো। এতে করে কিওয়ার্ডটি ঐ ব্লগে সঠিকভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করা হলোনা।
আর এতে করে অবশ্যই সেই ব্লগটি গুগলে আর র্যাংক করবেনা। তাই একটি ব্লগের শুরু, মাঝে ও শেষে সকল জায়গাতেই কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
কিভাবে কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন করতে হয়?
একটি ব্লগে খুব খুব ঘন ঘন লাগালাগি করে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবেনা। যেমনঃ আপনি একটি আর্টিকেলে একটি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন।
এর ঠিক এক লাইন পরই আবার সেই ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবেনা। আপনাকে কমপক্ষে ৪ লাইন পর সেই ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
আবার একই ভাবে আপনি একটি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করে পরবর্তী আরো ১০ বা ১৫ লাইন পর আরেকটি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করছেন।
এরকমও করা যাবেনা। সঠিক লাইন পর পর কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
ধরুন, আপনার আর্টিকেলে ৪০টি শব্দ আছে। আপনার কিওয়ার্ড মোট ১০টি। তাহলে আপনাকে ৪ লাইন পর পর কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
এর কিছু কম বা বেশি হলে সমস্যা নেই। এভাবে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন করে একটি ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে হবে।
উপসংহার
একটি আর্টিকেল র্যাংক করার জন্য অনেকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এদের মধ্যে আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও কিওয়ার্ড ডিস্ট্রিবিউশন অন্যতম।
আপনারা আশা করি, এই আর্টিকেলে এই দুই বিষয় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আর ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে এই দুই বিষয় মেনে ও নিয়ম অনুযায়ী ব্লগ বা আর্টিকেলে লিখবেন। পোস্টটি অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিন।