আপনি দেশের সিম কার্ড বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন। তাও আবার একদম সহজ উপায়ে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন কাজে বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যেতে হয়।
তখন আমাদের নিজের সিম কার্ড দিয়ে দেশে কল করার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই হজ্বে যেয়েও এরকম প্রয়োজন হয়।
এই অবস্থায় আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবহার করা দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
আপনি সহজেই বিদেশের মাটিতে দেশের সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি এখন চাইলেই বিদেশে যেয়ে বাংলাদেশী লোকাল নাম্বারে কল করতেও পারবেন।
আবার কল রিসিভও করতে পারবেন।
আমরা যারা প্রবাসী তারাও দেশের অপারেটরের নাম্বারগুলি বিদেশে নিয়ে যেয়ে দেশে কল করতে পারব।
আবার বিদেশে গিয়েও দেশের সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারব।
এই রকম ভাবে কল করা হলে কেউই বুঝতে পারবেনা যে, আপনি দেশে আছেন নাকি দেশের বাইরে আছেন।
এখন দেখে নেই কিভাবে এটি করা সম্ভব।
আপনি এখন দেশের মোবাইল সিম বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি বিশ্বের যেকোন দেশে আপনার সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
এটা করতে পারবেন রোমিং সার্ভিস ব্যবহার করে।
এই উপায়ে কল করা, এস এম এস করা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশের সকল মোবাইল অপারেটর এই সার্ভিস চালু করেছে। যেমন গ্রামীনফোন (Grameenphone), বাংলালিংক(Banglalink), রবি (Robi), টেলিটক (Teletalk)। এদের মধ্যে গ্রামীনফোনের রোমিং সার্ভিস সবথেকে ভাল।
রোমিং মানে হল একটি ইন্টারন্যাশনাল চুক্তি।
যেখানে এক দেশের সিম কার্ড অন্য দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করতে পারবে। এই উপায়ে বিদেশে গিয়েও দেশের সিমকার্ড ব্যবহার করা যায়।
সেক্ষত্রে দুই দেশকেই টাকা দিতে হবে।
আমরা এখানে জানব কিভাবে GP বা গ্রামীনফোন এর International Roaming (রোমিং) চালু করতে হবে। আর বিদেশের মাটিতে দেশের সিম ব্যবহার করতে হয়।
গ্রামীনফোনের সিমে রোমিং সার্ভিস যেভাবে চালু করতে হয়
অন্যান্য অপারেটরদের তুলনায় গ্রামীনফোন সিমে রোমিং চালু করা সবথেকে সহজ। এই রোমিং সার্ভিসের মাধ্যমে সহজেই দেশের মোবাইল সিম বিদেশে ব্যবহার করা যায়।
দেখে নেই গ্রামীনফোন সিমে কিভাবে রোমিং সার্ভিস চালু করতে হয়-
১. আপনার মোবাইলে প্রথমে মাইজিপি অ্যাপ Google playstore থেকে install করতে হবে।
২. এরপর আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে মাইজিপি অ্যাপ MyGp চালু করে নিতে হবে।
৩. অ্যাপ স্ক্রল করে Roaming অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে Choose roaming type বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এরপর এখান থেকে কল, এসে এম এস, ডাটা ইত্যাদি কেনা যাবে।
এগুলি কিনে সহজেই দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ এই সিম দিয়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের যেকোন নাম্বারে কল করা যাবে। এজন্য আপনি যত টাকা আপনার সিমে উঠাতে চান।
তা ডলারে লিখে Continue to payment বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫. আপনার সিমে টাকা ঢুকানোর জন্য একটি ইন্টারন্যাশনাল ডুয়াল কারেন্সি কার্ড বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
টাকা প্রদান সম্পন্ন হলে Activaton message দেখাবে। এখানে ডলারে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। দেশের সিমকার্ড বিদেশে ব্যবহার করার জন্য একেক দেশের একেক কলরেট আছে।
বিভিন্ন দেশের কলরেট জানার জন্য Roaming rates এ ক্লিক করতে হবে।
এখানে বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রেট দেখাবে। এছাড়া এখানে incoming, outgoing, sms, internet data সংক্রান্ত তথ্যাদি দেখতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই Roaming ব্যবহার করে দেশের সিম কার্ড বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
FAQ:
বিদেশে গিয়েও দেশের সিমকার্ড ব্যবহার করার জন্য কোন কোন বাংলাদেশী অপারেটর রোমিং সার্ভিস চালু করেছে?
এখন বাংলাদেশের প্রায় সকল অপারেটরেই রোমিং সেবা চালু হয়েছে। যেমন- গ্রামীনফোন, টেলিটক, বাংলা লিংক, রবি। এদের মাধ্যমে সহজেই দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করা সম্ভব।
দেশের সিমকার্ড বিদেশে ব্যবহার করা কতটা সত্যি?
আপনি চাইলেই দেশের মোবাইল সিম বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকতে হবে। যেই কার্ডে আপনাকে আগে থেকেই ডলার লোড করে নিতে হবে।
উপসংহার
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি, যারা নিত্যদিনেই বিদেশ ভ্রমণ করে থাকি।
কিন্তু তা অনেক অল্প সময়ের জন্য। এই অল্প সময়ের জন্য সেই দেশে যেয়ে আমাদের তাদের সিম কার্ড ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এক্ষত্রে আমরা খুব সহজে রোমিং সার্ভিস ব্যবহার করে দেশের সিম কার্ড বিদেশে ব্যবহার করতে পারি।
আর সেই দেশ থেকে সহজেই আমাদের নিজের নাম্বার দিয়ে কল করতে পারি।
আবার সেই দেশ থেকে কল রিসিভ করতে পারি। এভাবে এখন থেকে সহজেই বিদেশের মাটিতে দেশের সিম ব্যবহার করতে পারব।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট