আর্টিকেল লেখার কৌশল জানার আগে আমাদের জানতে হবে আর্টিকেল কি?

এটি হল এমন একটি অনলাইন মাধ্যম, যার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও জ্ঞান অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

আর এটি সম্পূর্ণ ডিজিটালভাবে করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আর্টিকেলের মাধ্যমে কোন লেখাকে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আর্টিকেলের আরেক নাম ব্লগ।

আপনি যেকোন বিষয় বা টপিক নিয়ে অনলাইনে ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে পারেন।

এই ব্লগ গুলি যারা পড়ে তাদেরকে পাঠক বা ভিজিটর বলা হয়। একজন পাঠক ব্লগ পড়ে যেমন অনেক উপকৃত হয়ে থাকেন।

ঠিক তেমনি সেই ব্লগ বা আর্টিকেলকে তিনি অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং ব্লগে মন্তব্য করতে পারেন।

এই পোস্টে যা যা থাকছে-

কি কি ধরনের ব্লগ বা আর্টিকেল রয়েছে?

সাধারণত তিন ধরনের ব্লগ রয়েছে। সেগুলি হল –

১. পার্সোনাল ব্লগ

২. ব্যবসা কেন্দ্রিক ব্লগ

৩. নিশ ব্লগ

ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার কৌশল শিখে ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করার জন্য আমাদের নিশ ব্লগ লিখতে হবে।

নিশ মানে হলো টপিক বা ক্যাটাগরি। অর্থাৎ আপনাকে কোন নিশ বা টপিকের উপরে ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে হবে।

আর আপনাকে এমন নিশ বা টপিক বাছাই করতে হবে।

আর্টিকেল লেখার কৌশল

যে টপিকগুলো নিয়ে মানুষ অনলাইনে বেশি বেশি গুগলে সার্চ করে।

কেননা এই ধরনের নিশ নিয়ে আপনি যদি ব্লগ লেখেন, তাহলে একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে লিখে ভালো ইনকাম হবে।

এখন দেখে নেই, কিভাবে সঠিক নিয়মে একটি আর্টিকেল লিখতে হয়।

আর্টিকেল লেখার কৌশল

বাংলাতে ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার কৌশল বা উপায়গুলি হল-

১. আর্টিকেলের জন্য একটি নিশ বাছাই করা

ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে একটি নিশ বা টপিক বাছাই করতে হবে।

আপনাকে অবশ্যই এমন নিশ বা টপিক বাছাই করতে হবে।

যে টপিক গুলির বিষয়ে মানুষের আগ্রহ আছে বা যে টপিকের ব্লগের জন্য মানুষ গুগলে বেশি বেশি সার্চ দেয়।

এমন ১৪টি বাছাইকৃত নিশ হল-

১. স্বাস্থ্য

২. লাইফস্টাইল

৩. টেক

৪. ফেসবুক

৫. আর্নিং

৬. রান্না

৭. ইউটিউব

৮. ভ্রমণ

৯. ধর্ম

১০. টিউটোরিয়াল

১১. সমকালীন তথ্য

১২. প্রোডাক্ট রিভিউ

১৩. টিপস এন্ড ট্রিকস

১৪. জনপ্রিয় ও সেরা

২. আর্টিকেলের তথ্য সংগ্রহ করা

যেকোন একটি নিশ নিয়ে কোন আর্টিকেল লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, আপনাকে আর্টিকেলের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

আপনাকে কমপক্ষে ১৫০০ শব্দে একটি আর্টিকেল লিখতে হবে।

এই আর্টিকেলের তথ্যগুলি আপনাকে গুগল ও ইউটিউব থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

ধরুন আপনি স্বাস্থ্য টপিকের উপর একটি আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন।

আর স্বাস্থ্য রিলেটেড আপনি চিয়া সীড খাওয়ার উপকারিতার উপর একটি ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়ে ইংরেজীতে গুগলে বিভিন্ন সার্চ করতে হবে।

সার্চ রেজাল্ট থেকে চার পাঁচটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, একত্রিত করতে হবে ও এগুলি গুগলে বাংলায় ট্রান্সলেট করতে হবে।

এরপর তথ্য গুলিকে একত্রে একটি নোটপ্যাড বা গুগল ডকসে লিখে নিতে হবে।

এছাড়া এই বিষয়ের উপর ইউটিউবে সার্চ দিতে হবে। বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখে তথ্য সংগ্রহ করে নিতে হবে।

এবার গুগল ইউটিউবের সকল তথ্য একত্রিত করে, আপনাকে নিজের মতো করে একটি ১৫০০ শব্দের আর্টিকেল লিখতে হবে।

আর্টিকেলটি ১৫০০ শব্দের হয়েছে কিনা তা জানার জন্য wordcounter.net সাইটে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পেস্ট করে, শব্দ গননা করা যাবে।

৩. আর্টিকেলের জন্য একটি টাইটেল লেখা – আর্টিকেল লেখার কৌশল

আর্টিকেলের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক টাইটেল লিখতে হবে। যেমন চিয়া সীড খাওয়ার উপকারিতা

ব্লগের জন্য আপনি টাইটেল লিখতে পারেন- চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা – সেরা ১০টি।

এ বিষয়ে অন্যরা কিভাবে টাইটেল লিখেছেন, তা জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের এই বিষয়ের উপর ব্লগ গুলির টাইটেল দেখে নিতে হবে।

চেষ্টা করতে হবে, অন্যের লেখা টাইটেল এর সাথে আপনার লেখা টাইটেল যেন কিছুটা ভিন্ন থাকে।

টাইটেলটি তালিকা, প্রশ্নমূলক, কিভাবে, সমাধান ইত্যাদি টাইপের হতে হবে।

আর টাইটেলটি পড়ে যেন মানুষ তাদের নিজেদের সাথে সরাসরি যুক্ত হতে পারে, এমন ভাবে টাইটেলটি লিখতে হবে।

ক্লিক বেইট বা চাটুকারিতা মূলক টাইটেল লেখা যাবে না।

অর্থাৎ এমন কোন টাইটেল লেখা যাবে না যেগুলি দেখা মাত্রই মানুষ ক্লিক করে।

যেমন- একদিনে গায়ের রং ফর্সা করার উপায়। এই ধরনের টাইটেল দেখে মানুষ ক্লিক করে।

কিন্তু ক্লিক করে তারা বুঝতে পারে ব্লগের ভেতর তেমন কিছু লেখা হয়নি। যার ফলে তারা পরবর্তীতে আর বিশ্বাস করতে পারেনা।

টাইটেলটি অবশ্যই পাঁচ থেকে নয় শব্দের মধ্যে হতে হবে।

কিভাবে টাইটেল লিখতে হয় এই বিষয়ে আরো জানতে নিচের ব্লগটি পড়ুন।

৪. আর্টিকেলের জন্য একটি ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা

একটি আর্টিকেলের প্রধান কিওয়ার্ডকে ফোকাস কিওয়ার্ড বলে।

আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড বের করে নিতে হবে।

ধরুন আপনি আর্টিকেল লিখছেন, চিয়া সিড  খাওয়ার উপকারিতা – সেরা ১০টি।

এক্ষেত্রে আপনি যদি ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে ‘চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা’ কে মনোনীত করেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে, এই ফোকাস কিওয়ার্ডটি লিখে মানুষ কেমন সার্চ করে।

এর জন্য এই ফোকাস কিওয়ার্ড লিখে আপনাকে Google ও ইউটিউবে সার্চ করতে হবে।

আপনি যদি দেখেন এই কিওয়ার্ডটি লিখে অনেকেই সার্চ করছে বা এর সার্চ রেজাল্ট বিভিন্ন জায়গায় দেখাচ্ছে।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই, এই সার্চ কিওয়ার্ডের মান্থলি সার্চ ভলিউম ও ডিফিকাল্টি চেক করতে হবে।

এর জন্য আপনাকে Google keyword planner, Uber suggest বা Ahrefs টুলস এর মাধ্যমে চেক করে নিতে হবে, এর সার্চ ভলিউম কমপক্ষে যেন ১০০ হয়।

আর Google Keyword planner এর ক্ষেত্রে কম্পিটিশন যেন low বা medium হয়। Uber suggestAhrefs এর ক্ষেত্রে KD যেন easy হয়। KD মানে keyword difficulty.

একটি ফোকাস কিওয়ার্ড দুই থেকে চার শব্দের হতে হবে।

এটি ১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেলে ১২ থেকে ১৫ বার থাকতে হবে।

আর এই ফোকাস কিওয়ার্ডটি, অবশ্যই টাইটেলে থাকতে হবে।

এছাড়া ভূমিকার প্রথম প্যারাতে ও আর্টিকেলের শেষ প্যারা বা উপসংহারে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে।

আর কমপক্ষে পাঁচটি সাব হেডিংয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের ব্লগটি পড়ুন।

৫.আর্টিকেলের জন্য রিলেটেড কিওয়ার্ড ও লং টেইল কিওয়ার্ড নির্বাচন করা

একটি আর্টিকেলের জন্য কমপক্ষে চারটি রিলেটেড কিওয়ার্ড ও চারটি লং টেল কি ওয়ার্ড নির্বাচন করা উচিত।

রিলেটেড কিওয়ার্ড হলো সেই সকল কিওয়ার্ড যেগুলি ফোকাস কিওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে লেখা হয় অথবা ফোকাস কিওয়ার্ডের সমার্থক শব্দ।

যেমন চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা এই ফোকাস কি ওয়ার্ডের একটি রিলেটেড কিওয়ার্ড হতে পারে – চিয়া সিড খাওয়ার উপকারি দিক।

এভাবে চারটি রিলেটেড লিখতে হবে। আর ফোকাস কিওয়ার্ডের আগে বা পরে কোন শব্দ যুক্ত করে লং টেইল কিওয়ার্ড লেখা যায়।

যেমন চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা এই ফোকাস কিওয়ার্ডটির একটি লং টেইল কিওয়ার্ড হতে পারে – সকালবেলা চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা।

রিলেটেড কিওয়ার্ড ও লং টেইল কিওয়ার্ড গুলি একটি আর্টিকেলে কমপক্ষে একবার করে থাকতে হবে।

এছাড়া এই কিওয়ার্ডগুলি সাধারনত চার থেকে নয় শব্দের মধ্যে হতে হবে।

এগুলি একটি আর্টিকেলের যেকোন জায়গাতে থাকতে পারে।

ফোকাস কিওয়ার্ড এর মতোই এই কিওয়ার্ডগুলিও google keyword planner, uber suggest, ahrefs বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে নির্বাচন করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে ব্লগটি পড়ুন।

৬. আর্টিকেলের জন্য সঠিক নিয়মে ভূমিকা লেখা – আর্টিকেল লেখার কৌশল

যে কোন একটি ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার জন্য শুরুতেই একটি দৃষ্টিনন্দন ভূমিকা লেখা জরুরি।

ভূমিকাটি অবশ্যই ১৫০ থেকে ২৫০ শব্দের হতে হবে। ভূমিকাতে একটি আর্টিকেলের সারমর্ম লিখতে হবে।

অর্থাৎ আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কি লিখতে চাচ্ছেন তার সংক্ষিপ্ত রূপ ভূমিকাতে লিখতে হবে।

ভূমিকার প্রথম প্যারাতে অবশ্যই একটি আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে। ভুমিকা লেখার নিয়ম বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।

৭. আর্টিকেলের জন্য সঠিক নিয়মে একটি বর্ণনা লেখা

একটি আর্টিকেলের বর্ণনাতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল এর বিস্তারিত লিখতে হবে।

১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেলে বর্ণনাতে কমপক্ষে ১১০০ থেকে ১২০০ শব্দ লিখতে হবে।

বর্ণনাতে কমপক্ষে ছয়টি সাব হেডিং থাকতে হবে, একটি সাব হেডিং এর প্যারাতে ৩০০ এর বেশি শব্দ লেখা যাবে না।

লেখার ভেতরে বিভিন্ন প্যারার উপরে যে পয়েন্টগুলো থাকে, সেগুলিকেই সাব হেডিং বলে।

এগুলি সাধারণত h2, h3 ট্যাগ নামে পরিচিত। বর্ণনা লেখার নিয়ম ও হেডিং সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন-

৮. বুলেট পয়েন্ট বা নাম্বারিং করে লেখা

একটি আর্টিকেলের বর্ণনাতে কমপক্ষে এক জায়গায় কোন একটি লেখা বুলেট পয়েন্ট বা নাম্বারিং করে লিখতে হবে।

এটা এসইও এর জন্য খুবই ভালো।

৯. FAQ বা প্রশ্নউত্তর লেখা – আর্টিকেল লেখার কৌশল

আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন তার ওপরে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দিতে হবে।

আপনি দুই থেকে তিনটি FAQ লিখতে পারেন। এই FAQ সাধারণত বর্ণনার একদম শেষে লিখতে হবে।

১০. কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন মেনে আর্টিকেল লেখা

আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড এর উপর কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন মেনে আর্টিকেল লিখতে হবে।

এক্ষেত্রে একটি ১৫০০ শব্দের আর্টিকেলে ১০০ থেকে ১৩০ শব্দ পরপর একবার করে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকতে হবে।

আর লংটেইল কিওয়ার্ড ও রিলেটেড কিওয়ার্ড গুলি আর্টিকেলের যে কোন জায়গায় থাকতে পারে।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন লং টেইল কিওয়ার্ড ও রিলেটেড কিওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে না। এই সম্পর্কে আরো জানতে নিচে বিস্তারিত দেখুন।

১১. কমপক্ষে ১৫০০ শব্দে একটি আর্টিকেল লেখা – আর্টিকেল লেখার কৌশল

একটি আর্টিকেল কমপক্ষে ১৫০০ শব্দ বা তার অধিক শব্দে লিখতে হবে।

কেননা আপনাকে একটি আর্টিকেলে যেকোন টপিকের উপর লিখতে হলে বিস্তারিত ভাবে লিখতে হবে।

কম শব্দে আর্টিকেল লেখা হলে, সেই আর্টিকেলের বিষয়ে অনেক তথ্যই বাদ যাবে।

তাই চেষ্টা করতে হবে কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লেখার।

যাতে করে আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে লেখা যায়

১২. আর্টিকেলের ২৫% বাক্যের দৈর্ঘ্য ২০ শব্দের বেশি হওয়া যাবে না

সম্পূর্ণ আর্টিকেলের ২৫% বাক্যের দৈর্ঘ্য ২০ শব্দের বেশি হওয়া যাবে না।

অর্থাৎ একটি আর্টিকেলে ২০ শব্দের বেশি একটি বাক্য থাকতে পারে।

তবে সেটি সম্পূর্ণ আর্টিকেলের ২৫% থাকতে হবে। তাই চেষ্টা করতে হবে বিশ শব্দের মধ্যে একটি বাক্য লেখার।

তবে লিখতে যেয়ে অনেক সময় ২০ শব্দের বেশি হয়ে যায়। এই ২০ শব্দের বাক্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলের ২৫% লিখলে কোন সমস্যা নেই।

১৩. আর্টিকেলে খুব বেশি জটিল বাক্য ব্যবহার না করা – আর্টিকেল লেখার কৌশল

একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে সব সময় সরল ও সহজ বাক্য ব্যবহার করতে হবে।

যাতে করে একজন পাঠক, আর্টিকেল পড়তে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আর তার কাছে এটি পড়তে ও বুঝতে অনেক সহজ হয়।

তাই জটিল বাক্য পরিহার করতে হবে

১৪. একই শব্দ দিয়ে পরপর দুটি বাক্য শুরু না করা

কখনোই একই শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে এমন দুটি শব্দ দিয়ে পরপর দুটি বাক্য শুরু করে লেখা যাবে না।

যেমন: আপনাকে একটি আর্টিকেলে এভাবে লেখা যাবে না- ‘চিয়াসীড অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। চিয়া সিড খেলে ওজন কমে।’

এভাবে না লিখে লিখতে হবে- ‘চিয়াসিড অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি খেলে ওজন কমে।’

অর্থাৎ এখানে পর পর দুই লাইনের চিয়াসিড লিখে শুরু করা যাবেনা। প্রথম লাইনে চিয়াসিড লিখে শুরু করে, পরের লাইনে এটি লিখে শুরু করা হয়েছে।

১৫. আর্টিকেলে একটি ১০০% ইউনিক ছবি যুক্ত করতে হবে – আর্টিকেল লেখার কৌশল

আর্টিকেলের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ছবি বানাতে হবে। এই ছবিটি আপনি Befunky অথবা Canva এর সাহায্যে বানাতে পারেন।

গুগলের ইমেজ সার্চ থেকে ছবি কখনোই সরাসরি ডাউনলোড করে আর্টিকেলে দেওয়া যাবে না।

এছাড়া এআই এর মাধ্যমে কোন প্রকার ছবি তৈরি করে তা আর্টিকেলে দেওয়া যাবে না।

কেননা, এতে অনেক সময় ছবি ইউনিক হওয়ার ব্যাপারে রিক্স থেকে যায়। আর তৈরি করা ছবি যেন অপটিমাইজ করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছবি বানানো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

১৬. কনটেন্ট কপি করে লেখা যাবেনা

অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন ব্লগের নির্দিষ্ট কনটেন্ট বা সম্পূর্ণ ব্লগ হুবহু কপি করে লেখা যাবে না।

এতে করে আপনার লিখিত কপি করা ব্লগ টি কখনোই গুগলের সার্চে দেখাবে না বা গুগল থেকে পেনাল্টি খাবে।

তাই সর্বদা ইউনিক কনটেন্ট লিখতে হবে।

১৭. কনটেন্ট স্পিনিং করে লেখা যাবে না

কনটেন্ট স্পিনিং বলতে বোঝায়, কোন একটি লেখা হুবহু কপি না করে সেই লেখার মত করে ও কিছুটা পরিবর্তন করে একই জিনিস লেখা।

এভাবে লেখাকে স্পিনিং করে লেখা বলে। অনেক স্পিনিং টুলের মাধ্যমে এভাবে লেখা যায়।

আর এভাবে স্পিনিং করে কখনোই লেখা যাবে না। আপনাকে অবশ্যই নিজস্বভাবে, নিজের মতো করে ও ইউনিট করে লিখতে হবে।

১৮. ইংরেজি ব্লগ ট্রান্সলেট করে হুবহু না লেখা 

কোন প্রকার ইংরেজী ব্লগ কপি করে গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে বাংলাতে হুবহু ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করে সরাসরি পেস্ট করা যাবেনা।

আপনি ইংলিশ ব্লগ বা আর্টিকেল অনুবাদ করে ধারণা নিতে পারবেন। কিন্তু সরাসরি কপি করা যাবেনা।  

উপসংহার – আর্টিকেল লেখার কৌশল

আশা করি আপনারা খুব সহজেই বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলি ও কৌশল গুলি জানতে পেরেছেন।

আর আর্টিকেল লেখার কৌশল গুলি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য আপনারা এই ভিডিও দেখে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার কৌশল শিখে নিতে পারবেন।

তাহলে আজকেই আপনি, একটি নোটপ্যাডে অথবা Google docs এ ব্লগ বা আর্টিকেল লেখা প্র্যাকটিস শুরু করুন।

এজন্য আপনি যে কোন বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল লিখুন। আর দেখুন সবকিছু ঠিকভাবে লিখতে পারছেন কিনা।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন