অনলাইন যেমন আমাদের সকলের জীবন সহজ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনি এখন সহজেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে।
যারা বাইরে যেয়ে চাকরি করতে পছন্দ করেননা, তারা ঘরে বসে এভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইনে টাকা আয় জন্য নানা রকম অনলাইন ইনকাম সাইট ও অ্যাপ রয়েছে। আপনি চাইলে ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। আবার আপনি অনলাইন পার্ট জব ও ফুল টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনাকে অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে সঠিক উপায়টি জানতে হবে।
আর আপনাকে অনলাইনে আয় করার জন্য সঠিক কাজ ভালভাবে শিখতে হবে।
এই আর্টিকেলে আমরা জানব, অনলাইনে কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে আয় করার জন্য অনেক উপায় আছে। আর বলতে গেলে অনলাইনে টাকা উড়ে বেরাচ্ছে।
আর আপনাকে সেই টাকা ধরতে জানতে হবে। সেই টাকা ধরার জন্য আপনাকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় টি জানতে হবে।
আর ঘরে বসে আয় করার সঠিক পথটি বের করাই হল সবথেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ।
অনলাইনে যে সকল উপায়ে সহজেই আয় করা যায়-
- ফ্রিল্যান্সিং করে
- লেখালেখি করে বা ব্লগিং করে
- ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে
- ফেসবুকের মাধ্যমে
- অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে
- অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে
- নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে
- অনলাইনে সার্ভে করে
- ভার্টুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে
- ই বুক লিখে
- ওয়েবসাইট বিক্রি করে
- অনলাইনে টাইপিং করে
- ওয়েবসাইট ডিজাইন করে
- ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
- ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
১. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
আমরা কমবেশি সবাই ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত।
কারণ ফ্রিল্যান্সিং করে আজকাল খুব সহজেই আয় করা যাচ্ছে। এটা ছাত্রদের জন্য অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা মাধ্যম।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কারণ এটি যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষ করতে পারে। আপনি ঘরে বসে একটি মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে এটি করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশ ভারত সহ অনেক দেশ রেমিটেন্স আনছে।
যার ফলে এটা করে আপনি দেশে অবদান রাখতে পারছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি? What is Freelancing?
এটি হল একটি স্বাধীন পেশা।
আপনি চাইলেই যেকোন সময় Freelancing করতে পারেন। দিনে অথবা রাতে যেকোন সময় করতে পারেন। এখানে আপনাকে অনলাইনে থেকে কাজ খুঁজে নিতে হয়।
যারা কাজ দেয় তাদেরকে বলা হয় বায়ার। আপনি যেই কাজ পারেন। সেই কাজ আপনাকে খুঁজতে হয়।
এখানে যারা কাজ করে তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
এখানে আপনাকে কোন সময় মেনে কাজ করতে হয়না।
বসের কোন গালি আপনাকে শুনতে হয়না। কারো অধীনে আপনাকে কাজ করতে হয়না। আবার এখানে আয় অনেক বেশি।
আপনি একবার একটি ভাল অবস্থানে পৌছালে Freelancing করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। এটা করার জন্য প্রথমত আপনাকে যেকোন একটি কাজে পারদর্শী হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজগুলি করতে হবে। আর এই কাজগুলি আপনাকে খুব ভালভাবে শিখতে হবে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে যে কাজ শিখতে পারেন-
১. গ্রাফিক্স ডিজাইন
২. ওয়েব ডিজাইন
৩. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
৪. গেম ডেভেলপমেন্ট
৫. এস ই ও
৬. ভিডিও এডিটিং
৭. কন্টেন্ট রাইটিং
৮. ডাটা এন্ট্রি
৯. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
১০. ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি
এই রকম আরো অনেক কাজ আছে। এই কাজগুলির যেকোন একটিতে প্রথমে পারদর্শী হতে হবে।
এরপর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে। কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর আপনি যখন একটি কাজ পাওয়া শুরু করবেন।
এরপর কাজ পেতেই থাকবেন। আর কাজ পেতে পেতে একটা সময় আসবে যে আপনি কাজ করার সময়ই পাচ্ছেন না।
তখন আপনার মাসে মাসে প্রচুর টাকা আয় হবে। সেই টাকার পরিমাণ হবে অনেক বেশি। আপনি মাসে ১ লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আর সেই টাকা খুব সহজে আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন। এমনকি বিকাশেও নিতে পারবেন।
কয়েকটি প্রসিদ্ধ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে, যেখানে কাজ করে আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবার ওয়েবসাইট হল-
- Upwork
- Freelancer
- Fiverr
- Guru
- People per hour
- 99 Designs ইত্যাদি
২. ব্লগ লিখে আয় – অনলাইনে টাকা ইনকাম
কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করাকে ব্লগ বলে।
আপনি যদি খুব ভাল লিখতে পারেন। তাহলে লেখালেখি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যেকোন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। আপনি যা জানেন তাই লিখতে পারেন। তবে আপনার লেখার দ্বারা যেন কেউ উপকৃত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কোথায় ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়
ব্লগ লেখার জন্য আপনি গুগলের ব্লগারে (Blogger.com) লিখতে পারেন।
এখানে আপনি ফ্রিতে ব্লগ লিখতে পারেন। এখানে আপনার ব্লগ লিখতে কোন প্রকার টাকা লাগেনা।
তবে ব্লগারের সাথে আপনি আপনার একটি নিজস্ব ডোমেইন কিনে সেট করতে পারেন।
এছাড়া আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে (WordPress) ব্লগ লিখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগ লেখা শুরু করতে হবে।
আপনি কোন এক্সপার্টের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন।
আপনি চাইলে নিজেও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির উপায় শিখে, নিজেই ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি শুরু করে দিতে পারেন।
এছাড়া আপনি ব্লগসহ ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কিনে শুরু করতে পারেন।
ব্লগ লিখে কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হয়
ব্লগ লিখে আয় করার করার জন্য প্রথমে বেশ কয়েকটি ব্লগ লিখে ফেলুন। আপনি ধীরে ধীরে কয়েকদিনে লিখতে পারেন।
এরপর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের এসইও করুন। এসইও খুব ভালভাবে করলে আপনার ব্লগে অনেক ভিজিটর আসা শুরু হবে।
এই ভিজিটর আসা শুরু হলে আপনি ব্লগ লিখে আয় শুরু করতে পারবেন। যে যে উপায়ে ইনকাম করা যাবে-
১. ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsense) ও অন্যান্য এড নেট ওয়ার্কের এড লাগিয়ে।
২. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর মাধ্যমে।
৩. ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে।
৪. স্পন্সরশীপের মাধ্যমে। ইত্যাদি।
আপনি এইভাবে ব্লগ লিখে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথম দিকে কিছুটা কম আয় হলেও একটা সময় দেখা যাবে যে, আপনি মাসে ২ থেকে ৩ হাজার ডলার আয় করতে পারছেন। যা টাকায় ২ থেকে ৩ লাখ।
৩. ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
আমরা সবাই ইউটিউব (Youtube) সম্পর্কে জানি।
এখানে আমরা নিয়মিত ভিডিও দেখি। আর এখান থেকে আমরা যেমন অনেক বিনোদন পাই। ঠিক তেমনি এখান থেকে ভিডিও দেখে অনেক কিছু শিখতে পারি।
আর অনেক কিছু জানতে পারি। আর আপনিও চাইলেই এই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই ভিডিও বানানোর জন্য যে একটি ভাল মানের ক্যামেরার প্রয়োজন হবে। তা নয়। আপনি চাইলে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে আপনি যেকোন ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন। শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, ফানি, নিউজ যেকোন ভিডিও বানাতে পারেন। তবে ভিডিও যেন অন্যের চুরি করা না হয়।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করার জন্য কি কি লাগবে
ভিডিও বানানোর জন্য যা যা লাগবে-
১. প্রথমে লাগবে একটি ক্যামেরা। এটা মোবাইলের ক্যামেরা হলেও চলবে। তবে এর রেজুলেশন ভাল হতে হবে। এরপর ভিডিও স্যুট করতে হবে।
২. এরপর ভিডিওটি ভাল মানের এডিটিং সফটওয়ার দিয়ে এডিট করতে হবে। আজকাল মোবাইলে ভালভাবে ভিডিও এডিট করা যায়।
৩. এরপর ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে।
৪. চ্যানেলে একের পর ভিডিও আপলোড দিতে হবে।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
যেভাবে ইউটিউব ভিডিও থেকে আয় করা যায় দেখুন-
১. ভিডিওতে গুগল অ্যাডসেন্স এর এড লাগিয়ে।
২. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর অ্যাফেলিয়েট কোড বসিয়ে।
৩. নিজের বা অন্যের পণ্য বিক্রি করে।
৪. স্পন্সরশীপের মাধ্যমে। ইত্যাদি।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপন মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভিডিও এর কোয়ালিটি যেন অনেক ভাল হয়।
ভিডিও ভাল হলে আপনার সাবস্ক্রাইবার (Subscriber) বাড়বে। আর এটি বাড়লে আপনার ভিউ বাড়বে। আর ভিউ বাড়লে ইনকাম বাড়বে।
রিলেটেডঃ ইউটিউব থেকে সহজেই ইনকাম করুন
৪. ফেসবুকের মাধ্যমে – অনলাইনে টাকা ইনকাম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এই ফেসবুকের মাধ্যমেই আজকাল বহু মানুষের কর্ম সংস্থান হচ্ছে।
Facebook এর মাধ্যমে নানাভাবে ঘরে বসে আয় করা যাচ্ছে। বলতে গেলে ফেসবুকে আপনি অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
কি কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়
দেখে নিন যেসকল উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন-
১. ভিডিও বানিয়ে ও সেই ভিডিওতে ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাড লাগিয়ে।
২. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে।
৩. পেজের মাধ্যমে ড্রপশিপিং ব্যবসা করে।
৪. পেজের মাধ্যমে নিজের ওয়েসাইটের এসইও করে।
৫. পেজের মাধ্যমে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে।
৬. ভিডিওতে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
ফেসবুক থেকে আয় করা যেমন সহজ। সেখান থেকে টাকা হাতে পাওয়াও অনেক সহজ। আপনি লেগে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এখান থেকে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা অনায়েসেই আয় করতে পারবেন।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে বেশ ভালো পরিমাণ আয় করছেন।
অনেকেই এই কাজ করে আজ কোটিপতি হয়ে গেছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি? এটা এক ধরনের কমিশন ব্যবসা।
অন্যের পন্যকে বিক্রি করে দিয়ে তার বিনিময়ে কমিশন পাওয়াকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়।
এই সকল প্রতিষ্ঠানের সকলেরই অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। আমরা যে কেউ চাইলেই তাদের প্রগ্রামে জয়েন হতে পারি।
আর তাদের পন্য আমরা বিক্রি করে কমিশন পেতে পারি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
ধরুন অ্যামাজন একটি শার্ট ১০ ডলারে বিক্রি করবে।
তারা এখন তার শার্ট বিক্রির লিংক আপনাকে দিল। আপনি সেই লিংক দিয়ে আপনার যেকোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা অন্য কোন মাধ্যমে সেই শার্টটি বিক্রি করে দিলেন।
এতে করে অ্যামাজন আপনাকে ২ ডলার দিল। আপনার ২ ডলার ইনকাম হল।
আর অ্যামাজনের শার্টটি বিক্রি হয়ে গেল। এই প্রক্রিয়াকেই অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং বলে।
অ্যাফেলিয়েট লিংক কোথায় পাব
আপনি চাইলে অ্যামাজন সহ অন্যান্য সাইট থেকে অ্যাফেলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে।
ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ইত্যাদি মাধ্যমে সেটা বিক্রি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দারাজ থেকেও এই পদ্ধতিতে আজকাল অনেক টাকা ইনকাম করছে।
এই ওয়েবসাইটগুলি ছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট আছে। যারা অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে।
আপনি এখন থেকে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করা শুরু করে দিন। এটি করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। যেসকল খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট সার্ভিস দিয়ে থাকে-
- Amazon
- Ebay
- Shopify
- Daraz ইত্যাদি।
৬. অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় – অনলাইনে টাকা ইনকাম
আপনার যদি কোন দোকান থাকে, যেটা দিয়ে আপনি সরাসরি অফলাইনে কেনাবেচা করে থাকেন। তাহলে আজ থেকে আপনার এই ব্যবসা আপনি অনলাইনে শুরু করতে পারেন। আপনার দোকানের যেকোন পণ্য আপনি অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া আপনার যদি কোন দোকান নাও থাকে। তাহলেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কারণ এই ব্যবসায় শুধু লাভ আর লাভ।
কেন অনলাইনে পন্য বিক্রি লাভজনক?
কারণ এতে আপনার কোন দোকান ভাড়া লাগছেনা।
বিদ্যুত বিল লাগছেনা। কর্মচারি বেতন লাগছেনা। এই রকম অনেক খরচ লাগছে না। শুধুমাত্র প্রমোশনের জন্য কিছু টাকা হলেই হচ্ছে।
তাই অনলাইনে পণ্য বিক্রি অনেক লাভজনক।
কিভাবে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় করা যায়-
দেখে নিন যে ২ উপায়ে এভাবে ইনকাম করা যায়-
১. ফেসবুকের মাধ্যমে
এর জন্য একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। আপনার পেজ ও পণ্যের প্রমোশন করতে হবে। এরপর অর্ডার আসলে তা ডেলিভারি করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি সৎ ভাবে ব্যবসা করতে পারেন।
তাহলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এই ব্যবসা খুবই লাভজনক। আজকাল অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় করছে। আপনিও চেষ্টা করে দেখুন।
২. ই কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
এর জন্য আপনাকে একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট খুলতে হবে।
সেই ইকমার্স ওয়েবসাইট আপনি কোন কোম্পানিকে দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর আপনার সব পণ্য সেই ইকমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের ভালভাবে এসইও করতে হবে ও প্রচারণা চালাতে হবে। একবার আপনার ওয়েবসাইট নাম করলে, সবাই আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে পন্য কিনবে।
আর আপনি মাসে মাসে একটা মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানোর কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হল-
- WordPress
- Shopify
- Wix
- Squarespace ইত্যাদি
৭. মোবাইলের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের (App Development) মাধ্যমে আয় করার জন্য। প্রথমে আপনাকে মোবাইলের অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ ও গেম বানানো শিখতে হবে। এটা শেখা কিছুটা কঠিন।
কিন্তু এটা একবার শিখতে পারলে। আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার আছে। যারা মাসে লাখ টাকার উপরে আয় করছেন। মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে আপনি কি কি উপায়ে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন–
১. অ্যাপে এড লাগিয়ে
মোবাইলের অ্যাপে এড লাগিয়ে সেই অ্যাডের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব। এর জন্য অ্যাপটিকে প্রথমে আপনাকে জনপ্রিয় করতে হবে।
২. অ্যাপ প্লেস্টোর ও আপেলর অ্যাপ স্টোরে বিক্রি করে
আপনার বানানো অ্যাপ গুগলের প্লেস্টোরে ও আপেলের অ্যাপ স্টোরে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এবার যত মানুষ আপনার অ্যাপটি কিনবে আপনার তত টাকা ইনকাম হবে।
৩. ফ্রিল্যান্সিং করে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে মোবাইল অ্যাপ ডেভেপলারের অনেক চাহিদা। আপনি বায়ারের অ্যাপ বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
৮. নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়
আপনি একটি নিউজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে News ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন
দেখে নিন কিভাবে নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করবেন-
১. এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পেপার থেকে নিউজ সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি নিউজ আপনার ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
২. আপনি আপনার নিউজের ওয়েবসাইটটি কোন কোম্পানি দিয়ে তৈরি করে নিবেন। আর নিউজ লেখার জন্য কয়েকজন রিপোর্টার নিযুক্ত করতে হবে। এরপর আপনার অনলাইন নিউজ পেপারের লাইসেন্স করে নিতে হবে।
৩. এরপর আপনার অনলাইন নিউজ পেপার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হওয়া শুরু হলে, আপনি এখান থেকে আয় করা শুরু করতে পারবেন।
৪. আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স, স্পন্সর, অন্যান্য অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনাকে প্রথম দিকে এর জন্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
কিন্তু ৬ মাস বা ১ বছর পর আপনি এতে বেশি টাকা মাসে মাসে আয় করতে পারবেন।
আপনার কর্মচারি বেতন, ডোমেইন বিল, হোস্টিং বিল, অফিস থাকলে অফিসের খরচ দেওয়ার পরেও আপনার লাখ টাকা আয় হবে।
আজকাল অনেকেই এই ব্যবসা করছে। তারা সফলও হচ্ছে। আপনার হাতে কিছু পুঁজি থাকলে আপনিও শুরু করে দিন।
৯. অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম – অনলাইনে টাকা ইনকাম
বিভিন্ন প্রকার সার্ভে (Survey website) ওয়েবসাইট থেকে আপনি সহজেই ঘরে বসে টাকা আয় করে নিতে পারেন।
এই ওয়েবসাইট গুলিতে আপনাকে কিছু সার্ভে পূরণ করতে হবে।
এর বিনিময়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। সার্ভে ওয়েবসাইটগুলিতে সার্ভে ছাড়াও গেম খেলে, ভিডিও দেখে, রেফার করে ইনকাম করা যায়।
আর এই ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে আপনি কিছু এক্সটা টাকা আয় করে নিতে পারবেন। এটা আয় করার খুবই সহজ মাধ্যম। এই সাইটগুলি থেকে টাকা উইথড্র করাও অনেক সহজ।
বেশিরভাগ সাইটেই Paypal সাপোর্ট করে। সেরা সার্ভে সাইটগুলি হল-
- Swagbucks
- Toluna
- Branded surveys ইত্যাদি।
১০. ভার্টুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে ইনকাম
ভার্টুয়াল এসিস্টেন্টে কাজের জনপ্রিয়তা বহির্বিশ্বে অনেক বেশি। এটা মূলত অনেকগুলি কাজ একসাথে করে বায়ারকে সহযোগিতা করার কাজ।
আপনি ডাটা এন্ট্রি, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ট্রান্সক্রিপশনিস্ট ইত্যাদি কাজে পারদর্শী হলে এই কাজ করতে পারবেন।
এই কাজ করে অনেক বেশি পরিমাণ ইনকাম করা যাবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজ প্রচুর পাওয়া যায়। আর আপনি সহজেই Virtual Assistant এর কাজ করে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। যেসকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভার্টুয়াল এসিস্টেন্টের কাজ পাওয়া যায়-
- Fiverr
- Upwork
- Freelancer
- People Per Hour ইত্যাদি
১১. ই-বুক লিখে আয়
আপনার যদি লেখালেখির হাত অনেক ভাল হয়। তাহলে, আপনি বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস লিখতে পারেন। আর আপনার সেই লেখা অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে ভিবিন্ন ইবুক প্ল্যাটফর্মে যেয়ে আপনার লেখা বই আকারে সেট করতে হবে। ই বুক লিখে ইনকাম করার কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হল-
- Amazon Kindle
- Smashwords
- Rakuten
- Kobo ইত্যাদি।
আপনি যদি অনেক ভাল লিখতে পারেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটিগুলিতে প্রচুর পরিমাণ বই বিক্রি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১২. ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম
আপনি যদি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য টাকা ইনকামের দারুণ সুযোগ রয়েছে। এটি একটি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ।
আপনি যেকোন ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে গুগল এডসেন্স বা অন্য এড নেটওয়ার্ক লাগান।
এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট লিংক লাগিয়ে ইনকাম শুরু করুন। আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম দেখান।
এরপর আপনার এই ওয়েবসাইটটিকে চড়া মূল্যে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট ছাড়াও আপনি ডোমেইন বিক্রি করেও আয় করতে পারেন। আপনি একটি ভালো ডোমেইন অল্প মূল্যে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন।
সাধারণত এভাবে আপনি যেকোন ওয়েবসাইটকে ৫ হাজার, ১০ হাজার ডলার বিভিন্ন দামে বিক্রি করতে পারবেন।
১৩. অনলাইনে টাইপিং করে ইনকাম
টাইপিং জব বেশ জনপ্রিয় ও সহজ একটি জব। আমরা সাধারণত সকলেই টাইপিং করতে পারি।
আপনি মোবাইল ও কম্পিউটার উভয় দিয়েই টাইপিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজ করে কম সময়ে অনেক ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
টাইপিং করতে কি কি লাগে
- একটি মোবাইল বা একটি কম্পিউটার
- ইন্টারনেট কানেকশন
- টাইপিং করতে জানা
এই জবে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন
টাইপিং করতে বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান, Ms word, Ms excel, Google Docs, Google Sheets ইত্যাদি কাজের দক্ষতার প্রয়োজন।
কিভাবে টাইপিং করে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়
আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টাইপিং এর কাজ করে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাইপিং করে ইনকাম করার কয়েকটি ওয়েবসাইট হল-
- Rev,
- 2captcha,
- TranscribeMe ইত্যাদি
এছাড়া বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টাইপিং এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে টাইপিং এর কাজ করে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন।
১৪. ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আয় – অনলাইনে টাকা ইনকাম
বর্তমানে ওয়েবসাইট বানানো অনেক সহজ হয়ে গেছে। আপনি এখন কোন প্রকার কোডিং না করে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
যেমন- WordPress, Drupal, Joomla ইত্যাদি CMS (কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এর মাধ্যমে যেকোন ধরনের সাইট বানাতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিল্ডার্স এর মাধ্যমে আরো সহজে শুধুমাত্র Drag and Drop করেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
আপনি সহজেই ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারেন।
কয়েকটি ওয়েবসাইট বিল্ডার্স হল-
- Wix
- Squarespace
- Weebly
- Webflow ইত্যাদি।
এভাবে আপনি যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। যেমন Blog, Ecommerce, Business ইত্যাদি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে যেভাবে আয় করা যায়
- ব্লগ ওয়েবসাইটে এড লাগিয়ে ও অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে।
- ইকমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে পণ্য বিক্রি করে।
- বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েবসাইট বানানোর কাজ করে। যেমন- Upwork, Guru, Peopleperhour ইত্যাদি।
- ওয়েবসাইট বানিয়ে তা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করে।
১৫. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
এই কাজের চাহিদা ও ব্যপকতা কখনোই শেষ হবেনা। কেননা এর মাধ্যমে যেকোন ওয়েবসাইটের প্রমোশন খুব ভাল ভাবে করা যায়।
আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করা হয়
একটি ইমেইল একসাথে অনেকগুলি একাউন্টে একসাথে পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
এখানে সাধারণত ইমেইলে কোম্পানীর বিভিন্ন ওয়েবসাইট লিংক, অফার, এড ইত্যাদি থাকে। আর সেটি ইমেইলের মাধ্যমে লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এখানে শুধুমাত্র টার্গেটেড Customer কেই ইমেইল পাঠাতে হয়। বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস রয়েছে। যেমন-
- Mailchimp
- Sender
- Mailmodo ইত্যাদি
এই সার্ভিসগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন Mail Template তৈরি করে তাতে বিভিন্ন ইউজারের ইমেইল এড্রসে একসাথে পাঠিয়ে দিতে হয়।
কিভাবে ইমেইল সংগ্রহ করতে হয়
বিভিন্ন ওয়েবসাইট এনালাইসিস, ইউজারদের ইন্টারেস্ট দেখে গুগল সার্চ অপশন থেকে মেইল লিস্ট সংগ্রহ করা যায়
ওয়েবসাইটে Email Subscription ফর্ম লাগিয়ে সেখান থেকে ইমেইল সংগ্রহ করা হয়।
ইমেইল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ করে।
- অনেক ইমেইল একসাথে সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে।
- নিজের ব্যবসার প্রচারের জন্য ইমেইল মার্কেটিং এর ব্যবহার করে।
১৬. ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম
এভাবে আপনি বিনা শিপিং বা পণ্য সরবরাহ করার খরচ ছাড়া, কোন ওয়েবসাইট ছাড়া, কোন প্রকার নিজস্ব পণ্য ছাড়া শুধুমাত্র কোন একটি পণ্য নির্দিষ্ট একটি দামে বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
সঠিকভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য যেসকল বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে-
উপরের ১৬টি উপারের মধ্যে আপনার জন্য উপযুক্ত উপায় খুঁজে নিতে হবে। এর জন্য যেসকল বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী
১. দক্ষতাঃ আপনার উপরের কাজগুলির মধ্যে কোন কাজে দক্ষতা আছে তা যাচাই করে কাজ শুরু করুন।
আপনার যদি কোন কাজ করে টাকা আয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকে, কিন্তু দক্ষতা না থাকে।
তাহলে সেই কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করুন।
২. বাজেটঃ আপনি যদি একটি ইকমার্স সাইট খুলে ব্যবসা করতে চান বা পণ্য বিক্রি করে অনলাইনে ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে চান।
তাহলে আপনার সেই পরিমাণ অর্থ আছে কিনা, তা আগে জানতে হবে।
৩. আগ্রহঃ কাজ শুরু আগে দেখতে হবে ও জানতে হবে যে আপনার সেই কাজে প্রচুর আগ্রহ আছে কিনা।
কারণ একটি কাজে যদি আপনার শতভাগ আগ্রহ না থাকে, তাহলে আপনি সেই কাজে সফল হতে পারবেন না।
আর যে কাজ করতে আপনার ভালো লাগবে, সেই কাজ করে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।
FAQ: অনলাইনে টাকা ইনকাম
কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া কি কি কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়?
আপনি কোন অর্থ খরচ না করেই যেসকল কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন তা হল- সার্ভে করে, ব্লগিং করে, টাইপিং করে ইত্যাদি।
সব অনলাইন কাজেই কি দক্ষতার প্রয়োজন হয়?
না। দক্ষতা ছাড়া অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করা যায়।
এমন অনেক কাজ আছে যেগুলি করতে দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
যেমনঃ সার্ভে করে , টাইপিং করে, অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের Tasks পুরণ করে ইত্যাদি কাজ করে ইনকাম করতে কোন প্রকার দক্ষতার প্রয়োজন হয়না।
তারপর তা খুব ভালভাবে করুন। লেগে থাকুন। পরিশ্রম করুন। খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন সফলতা আসছে।
আমাদের শেষকথা – অনলাইনে টাকা ইনকাম
অনলাইন থেকে একটি ভাল পরিমাণ টাকা আয় করার জন্য আপনার উপযুক্ত কাজটি খুঁজে নেওয়া খুবই জরুরী।
আপনি যদি ঘরে বসে লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান, তাহলে Blog ওয়েবসাইট খুলে বা ফিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
যদি পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে চান, তাহলে ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল বা ইকমার্স ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় শুরু করতে পারেন।
আপনি যেইভাবেই আয় করতে চাননা কেন, আপনাকে সেই কাজের ব্যাপারে প্রবলভাবে উৎসাহী থাকতে হবে। তবেই আপনি সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।