যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তারা সকলেই ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্বন্ধে জেনে থাকবেন। আর এটি খুবই জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। বাংলাদেশী যারা অনলাইনে টাকা আয় করেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এখানে কাজ করে থাকেন।
ফাইবারে কাজ করা অনেক সহজ। আর এখানে আপনাকে বায়ারকে খুজতে হয় না। বায়ারই আপনাকে খুঁজে নিবে। আর এখানে আপনি যে কাজ পারেন তার জন্য একটি গিগ তৈরি করতে হয়।

কিভাবে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়?

ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি জিমেইল অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দরকার হয়। আপনি খুব সহজে এখান থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার নাম, ডিস্প্লে নাম, ক্যাটাগরি, আপনার কাজের বর্ণনা দিতে হয়।

এরপর আপনার একটি প্রফাইল পিকচার দিতে হয় আর আপনার ফোন নাম্বার ভেরিফাইড করতে হয়।

এরপর আপনার প্রফাইলে আপনার সোশ্যাল লিংক দিয়ে প্রফাইলটিকে ৮০% থেকে ১০০% কমপ্লিট করতে হয়।

ফাইবারে কিভাবে গিগ খুলতে হয়?

ফাইবারের গিগ বলতে বোঝায় যে আপনি যে ক্যাটাগরির কাজ পারেন, তা প্রজেক্ট আকারে আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টে সেট করা। আপনার এই প্রজেক্টের সকল বর্ণনা ও আপনার কাজের রেট এই গিগের মাধ্যমে দেওয়া
হয়। এই গিগ দেখে বায়ার তখন আপনার সার্ভিসটি কিনে বা আপনাকে কাজে নেয়।

ফাইবারে গিগ খোলার আগে আপনার প্রফাইলটি ৮০% কমপ্লিট করে নিলে ভাল হয়।

এবার আপনি যে ক্যাটাগরির কাজ পারেন সেই ক্যাটাগরির গিগ খুলতে হয়। ফাইবারের কয়েকটি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হল ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এস ই ও ইত্যাদি।

গিগ খোলার আগে আপনাকে ভালভাবে কাজ শিখে নিতে হবে।

এরপর আপনার গিগের টাইটেল, গিগের বর্ণনা, ট্যাগ, ক্যটাগরি, কীওয়ার্ড দিতে হবে।

এরপর আপনি আপনার সার্ভিসের জন্য কত টাকা নিবেন ও আপনার গিগের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্তর সেট করে নিতে হবে।

তারপর আপনার গিগের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি সেট করতে হবে। যেই ছবির সাইজ ১২৮০*৭৬৯ পিক্সেলের হলে ভাল হয়। এরপর আপনার পোর্টফোলিও আপনার গিগে যোগ করে গিগ পাবলিশ করতে হয়।

এরপর আপনার এই গিগটি ফাইবারে দেখা যাবে। কোন বায়ার যদি আপনাকে পছন্দ করেন, তাহলে সে আপনাকে কাজে নিবে। আর আপনি তখন সেই বায়ারের কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

এভাবে প্রতিমাসে আপনার আয় বাড়তে থাকবে। এক সময় আপনার আয় মাসে লাখ টাকা ছাড়াবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন-