অনলাইন যেমন সকলের জীবন সহজ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনি এখন অনলাইনে ইনকাম করা যাচ্ছে। যারা বাইরে যেয়ে চাকরি করতে পছন্দ করেননা। তারা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে সঠিক উপায়টি জানতে হবে। আর জানতে হবে ইনকামের সঠিক পথ। আপনি যদি জানেন যে। কিভাবে সঠিক উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তাহলে খুব সহজেই তা পারবেন। আর অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ভালভাবে কাজ শিখতে হবে।
তবে কিছু কিছু কাজ আছে। যা করতে তেমন কোন স্কিলের দরকার হয় না বা কাজ শিখতে হয় না। আমরা জানব কিভাবে কি কি উপায়ে অনলাইনে কাজ করা যায়। কিভাবে অনলাইনে কাজ শিখতে হয়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়। কি কি কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। এই সকল কিছুর বিস্তারিত আপনি এই ব্লগ পড়ে জানতে পারবেন।
অবশ্যই পড়ুনঃ
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কি কি উপায় আছে
এর জন্য অনেকে অনেক উপায় আছে। আর বলতে গেলে অনলাইনে টাকা উড়ে বেরাচ্ছে। আর আপনাকে সেই টাকা ধরতে জানতে হবে। সেই টাকা ধরার জন্য আপনাকে সঠিক পথটি বেছে নিতে হবে। আর সঠিক পথটি বের করাই হল সবথেকে চ্যালেঞ্জিং কাজ।
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন। অমুকে অনলাইনে কাজ করে আয় করছে। তমুকে অনলাইনে কাজ করে আয় করছে। তখন আপনার ইচ্ছে হবে। আপনিও কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করবেন। সে পারলে আপনি কেন পারবেন না। আবার সবাই কি কাজ করে আয় করছে। তা কিন্তু শেয়ার করতে চায় না। তাই আপনাকেই জানতে হবে অনলাইনে আয়ের সঠিক পথ। অনলাইনে আয়ের নানা উপায়ের মধ্যে সবথেকে ভাল উপায়গুলি নিচে দেওয়া হল-
১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে ইনকাম
২. লেখালেখি করে বা ব্লগিং করে ইনকাম
৩. ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
৪. ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম
৫. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
৬. অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ইনকাম
৭. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
৮. নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
৯. গেম খেলে ইনকাম
১০. এড দেখে ইনকাম
এক নজরে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি উপায় | যেভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় |
---|---|
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে |
ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করে |
লেখালেখি করে বা ব্লগিং করে |
গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ ইত্যাদি মাধ্যমে |
ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে |
গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, পন্য বিক্রি ইত্যাদি মাধ্যমে |
ফেসবুকের মাধ্যমে |
ভিডিওতে এড লাগিয়ে, ড্রপশিপিং, পন্য বিক্রি, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে |
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে |
অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা, দারাজ ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে |
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে |
ফেসবুক ও ইকমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে |
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে |
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ বানিয়ে তা বিক্রি করে ও অন্যকে বানিইয়ে দিয়ে |
নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে |
গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ ইত্যাদি মাধ্যমে |
গেম খেলে |
Lovely pet, Bitcoin pop, Happy Ludo ইত্যাদি অ্যান্ড্রয়েড গেম খেলে |
এড দেখে |
Coinpayu website, Make Money with Givvy Social, Cash Earning App Givvy Videos ইত্যাদি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে |
দেখে নিন অনলাইনে ইনকামের বিস্তারিত-
১) ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
আমরা কমবেশি সবাই ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করে আজকাল খুব সহজেই আয় করা যাচ্ছে। এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কারণ এটি যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষ করতে পারে। আপনি ঘরে বসে একটি মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে এটি করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশ ভারত সহ অনেক দেশ রেমিটেন্স আনছে। যার ফলে এটা করে আপনি দেশে অবদান রাখতে পারছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
এটি হল একটি স্বাধীন পেশা। আপনি চাইলেই যেকোন সময় এটি করতে পারেন। দিনে অথবা রাতে যেকোন সময় করতে পারেন। এখানে আপনাকে অনলাইনে থেকে কাজ খুঁজে নিতে হয়। যারা কাজ দেয় তাদেরকে বলা হয় বায়ার। আপনি যেই কাজ পারেন। সেই কাজ আপনাকে খুঁজতে হয়।
এখানে যারা কাজ করে তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। এখানে আপনাকে কোন সময় মেনে কাজ করতে হয়না। বসের কোন গালি আপনাকে শুনতে হয়না। কারো অধীনে আপনাকে কাজ করতে হয়না। আবার এখানে আয় অনেক বেশি। আপনি একবার একটি ভাল অবস্থানে পৌছালে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়
এটা করার জন্য প্রথমত আপনাকে একটি কাজে পারদর্শী হতে হবে। আর এই কাজগুলি আপনাকে খুব ভালভাবে শিখতে হবে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে যে কাজ শিখতে পারেন-
১. গ্রাফিক্স ডিজাইন
২. ওয়েব ডিজাইন
৩. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
৪. গেম ডেভেলপমেন্ট
৫. এস ই ও
৬. ভিডিও এডিটিং
৭. কন্টেন্ট রাইটিং
৮. ডাটা এন্ট্রি
৯. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই রকম আরো অনেক কাজ আছে। এই কাজগুলির যেকোন একটিতে প্রথমে পারদর্শী হতে হবে। এরপর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে। কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর আপনি যখন একটি কাজ পাওয়া শুরু করবেন।
এরপর কাজ পেতেই থাকবেন। আর কাজ পেতে পেতে একটা সময় আসবে যে আপনি কাজ করার সময়ই পাচ্ছেন না। তখন আপনার মাসে মাসে প্রচুর টাকা আয় হবে। সেই টাকার পরিমাণ হবে অনেক বেশি। মাসে আপনি ১ লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। আর সেই টাকা খুব সহজে আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন। এমনকি বিকাশেও নিতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম করার ১০ উপায়
কয়েকটি প্রসিদ্ধ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
সবথেকে ভাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবার ওয়েবসাইট হল-
- আপওয়ার্ক (Upwork)
- ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
- ফাইবার (Fiverr)
- গুরু (Guru)
- পিওপল পার আওয়ার (People per hour)
- নাইন্টি নাইন ডিজাইনস (99 Designs)
- টপটাল (Toptal)
- বিহ্যান্স (Behance)
- গিগস্টার (Gigster)
- ফ্লেক্স জবস (Flexjobs)
২) ব্লগ লিখে ইনকাম
একটা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করাকে ব্লগ বলে। এটাকে আর্টিকেলও বলা হয়। আপনি যদি খুব ভাল লিখতে পারেন। তাহলে লেখালেখি করেই প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইনে ইনকামের জন্য এর থেকে সহজ আর কিছু হয়না।
আপনি যেকোন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। আপনি যা জানেন তাই লিখতে হবে। তবে আপনার লেখার দ্বারা যেন কেউ উপকৃত হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কিভাবে ব্লগ লিখতে হয়
ব্লগ লেখার নিয়মগুলি দেখে নিন-
১. যেকোন একটি টপিক বা একাধিক টপিক নির্বাচন করুন।
২. সেই বিষয়ে কমপক্ষে ৫০০ থেকে হাজার শব্দের লিখুন।
৩. আপনি খেলাধুলা, বিনোদন, খবর, রান্না, টেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে পারেন।
কোথায় ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়
ব্লগ লেখার জন্য আপনি গুগলের ব্লগারে (Blogger) লিখতে পারেন। এখানে আপনি ফ্রিতে ব্লগ লিখতে পারেন। এখানে আপনার ব্লগ লিখতে কোন প্রকার টাকা লাগেনা। তবে ব্লগারের সাথে আপনি আপনার একটি নিজস্ব ডোমেইন কিনে সেট করতে পারেন।
এছাড়া আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ লিখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগ লেখা শুরু করতে হবে। আপনি কোন এক্সপার্টের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন। আপনি চাইলে নিজেও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির উপায় শিখে। নিজেই ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানিয়ে। লেখালেখি শুরু করে দিতে পারেন।
ব্লগ লিখে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে হয়
এটা করার জন্য প্রথমে বেশ কয়েকটি ব্লগ লিখে ফেলুন। আপনি ধীরে ধীরে কয়েকদিনে লিখতে পারেন। এরপর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের এস ই ও করুন। এস ই ও খুব ভালভাবে করলে আপনার ব্লগে অনেক ভিজিটর আসা শুরু হবে। এই ভিজিটর আসা শুরু হলে আপনি ব্লগ লিখে আয় শুরু করতে পারবেন। যে যে উপায়ে ইনকাম করা যাবে-
১. ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স লাগিয়ে।
২. ব্লগে অন্য কোন কোম্পনির অ্যাড লাগিয়ে। যেমনঃ Taboola।
৩. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
৪. ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে।
৫. স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
আপনি এইভাবে ব্লগ লিখে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। প্রথম দিকে কিছুটা কম আয় হলেও একটা সময় দেখা যাবে যে। আপনি মাসে শুধুমাত্র ব্লগ লিখে ২ থেকে ৩ হাজার ডলার আয় করতে পারছেন। যা টাকায় ২ থেকে ৩ লাখ।
৩) ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
আমরা সবাই ইউটিউব সম্পর্কে জানি। এখানে আমরা নিয়মিত ভিডিও দেখি। আর এখান থেকে আমরা যেমন অনেক বিনোদন পাই। ঠিক তেমনি এখান থেকে ভিডিও দেখে অনেক কিছু শিখতে পারি। আর অনেক কিছু জানতে পারি। আর আপনিও চাইলেই এই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এই ভিডিও বানানোর জন্য যে একটি ভাল মানের ক্যামেরার প্রয়োজন হবে। তা নয়। আপনি চাইলে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে আপনি যেকোন ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন। শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, ফানি, নিউজ যেকোন ভিডিও বানাতে পারেন। তবে ভিডিও যেন অন্যের চুরি করা না হয়।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করার জন্য কি কি লাগবে
ভিডিও বানানোর জন্য যা যা লাগবে-
১. প্রথমে লাগবে একটি ক্যামেরা। এটা মোবাইলের ক্যামেরা হলেও চলবে। তবে এর রেজুলেশন ভাল হতে হবে। এরপর ভিডিও স্যুট করতে হবে।
২. এরপর ভিডিওটি ভাল মানের এডিটিং সফটওয়ার দিয়ে এডিট করতে হবে। আজকাল মোবাইলে ভালভাবে ভিডিও এডিট করা যায়।
৩. এরপর ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে।
৪. চ্যানেলে একের পর ভিডিও আপলোড দিতে হবে।
ইউটিউব থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায়
যেভাবে ইউটিউব ভিডিও থেকে আয় করা যায় দেখুন-
১. ভিডিওতে গুগল অ্যাডসেন্স এর এড লাগিয়ে।
২. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর অ্যাফেলিয়েট কোড বসিয়ে।
৩. নিজের বা অন্যের পণ্য বিক্রি করে।
৪. স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপনি মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। বলতে পারেন ইউটিউব হল টাকার খনি। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভিডিও এর কোয়ালিটি যেন অনেক ভাল হয়। ভিডিও ভাল হলে আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে। আর এটি বাড়লে আপনার ভিউ বাড়বে। আর ভিউ বাড়লে ইনকাম বাড়বে।
৪) ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এই ফেসবুকের মাধ্যমেই আজকাল বহু মানুষের কর্ম সংস্থান হচ্ছে। এর মাধ্যমে নানাভাবে আয় করা যাচ্ছে। বলতে গেলে ফেসবুকে আপনি অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
কি কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়
দেখে নিন যেসকল উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন-
১. ভিডিও বানিয়ে ও সেই ভিডিওতে ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাড লাগিয়ে।
২. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে।
৩. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ড্রপশিপিং ব্যবসা করে।
৪. পেজের মাধ্যমে নিজের ওয়েসাইটের এস ই ও করে।
৫. পেজের মাধ্যমে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে।
৬. ভিডিওতে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
ফেসবুক থেকে আয় করা যেমন সহজ। সেখান থেকে টাকা হাতে পাওয়াও অনেক সহজ। আপনি লেগে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এখান থেকে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা অনায়েসেই আয় করতে পারবেন।
৫) অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
অনলাইনে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে আছেন। যারা আজ কোটিপতি হয়ে গেছেন। অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং থেকে টাকা আয় করার আগে জানতে হবে। এটা আসলে কি। অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং হল কমিশন ব্যবসা। অন্যের পন্যকে বিক্রি করে দিয়ে তার বিনিময়ে কমিশন পাওয়াকেই অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং বলে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।
যারা অনেক অনেক পন্য বিক্রি করে থাকেন। যেমন অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা, দারাজ। তাদের সবারই অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। আমরা যে কেউ চাইলেই তাদের প্রগ্রামে জয়েন হতে পারি। আর তাদের পন্য আমরা বিক্রি করে কমিশন পেতে পারি।
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
ধরুন অ্যামাজন একটি শার্ট ১০ ডলারে বিক্রি করবে। তারা এখন তার শার্ট বিক্রির লিংক আপনাকে দিল। আপনি সেই লিংক দিয়ে আপনার যেকোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা অন্য কোন মাধ্যমে সেই শার্টটি বিক্রি করে দিলেন। এতে করে অ্যামাজন আপনাকে ২ ডলার দিল। আপনার ২ ডলার ইনকাম হল। আর অ্যামাজনের শার্টটি বিক্রি হয়ে গেল। এই প্রক্রিয়াকেই অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং বলে।
অ্যাফেলিয়েট লিংক কোথায় পাব
আপনি চাইলে অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা থেকে অ্যাফেলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে। ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ইত্যাদি মাধ্যমে সেটা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। দারাজ থেকেও এই পদ্ধতিতে আজকাল অনেক টাকা ইনকাম করছে। এই ওয়েবসাইটগুলি ছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট আছে। যারা অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে।
আপনি এখন থেকে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করা শুরু করে দিন। কারণ এটি থেকে একবার টাকা আসা শুরু হলে শুধু টাকা আর টাকা। অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।
৬) অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ইনকাম
আপনার যদি কোন দোকান থাকে। যেটা দিয়ে আপনি সরাসরি কেনাবেচা করে থাকেন। এমন হলে আপনি আজই আপনার পন্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে দিতে পারেন। আপনার যদি কোন দোকান নাও থাকে। তাহলেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ এই ব্যবসায় শুধু লাভ আর লাভ। এভাবে পন্য বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
কেন অনলাইনে পন্য বিক্রি লাভজনক?
কারণ এতে আপনার কোন দোকান ভাড়া লাগছেনা। বিদ্যুত বিল লাগছেনা। কর্মচারি বেতন লাগছেনা। এই রকম অনেক খরচ লাগছে না। শুধুমাত্র প্রমোশনের জন্য কিছু টাকা হলেই হচ্ছে। তাই অনলাইনে পন্য বিক্রি অনেক লাভজনক।
কিভাবে অনলাইনে পন্য বিক্রি করে আয় করব যায়-
দেখে নিন ২ উপায়ে পন্য বিক্রি করে আয় করা যায়-
১. ফেসবুকের মাধ্যমে
এর জন্য একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। আপনার পেজ ও পন্যের প্রমোশন করতে হবে। এরপর পন্যের অর্ডার আসলে তা ডেলিভারি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি সৎ ভাবে ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এই ব্যবসা খুবই লাভজনক। আজকাল অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় করছে। আপনিও চেষ্টা করে দেখুন।
২. ই কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
এর জন্য আপনাকে একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট খুলতে হবে। সেই ই কমার্স ওয়েবসাইট আপনি কোন কোম্পানিকে দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর আপনার সব পন্য সেই ইকমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের ভালভাবে এস ই ও করতে হবে ও প্রচারণা চালাতে হবে। একবার আপনার ওয়েবসাইট নাম করলে। সবাই আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পন্য কিনবে। আর আপনি মাসে মাসে একটা মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
৭) মোবাইলের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় করার জন্য। প্রথমে আপনাকে মোবাইলের অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ ও গেম বানানো শিখতে হবে। এটা শেখা কিছুটা কঠিন। কিন্তু এটা একবার শিখতে পারলে। আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার আছে। যারা মাসে ১০ লাখ টাকার উপরে আয় করছেন। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করে আপনি কি কি উপায়ে আয় করতে পারবেন-
১. অ্যাপে এড লাগিয়ে
মোবাইলের অ্যাপ এড লাগিয়ে সেই অ্যাডের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব। এর জন্য অ্যাপটিকে প্রথমে আপনাকে জনপ্রিয় করতে হবে।
২. অ্যাপ প্লেস্টোর ও আপেলর অ্যাপ স্টোরে বিক্রি করে
আপনার বানানো অ্যাপ গুগলের প্লেস্টোরে ও আপেলের অ্যাপ স্টোরে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এবার যত মানুষ আপনার অ্যাপটি কিনবে আপনার তত টাকা ইনকাম হবে।
৩. ফ্রিল্যান্সিং করে
মার্কেটপ্লেসগুলিতে মোবাইল অ্যাপ ডেভেপলারের অনেক চাহিদা। আপনি বায়ারের অ্যাপ বানিয়ে লাখ লাখ টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
৮) নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
আপনি একটি নিউজের ওয়েবসাইট বানিয়ে তা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে আয় করবেন
দেখে নিন কিভাবে নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করবেন-
১. এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পেপার থেকে নিউজ সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি নিউজ আপনার ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
২. আপনি আপনার নিউজের ওয়েবসাইটটি কোন কোম্পানি দিয়ে তৈরি করে নিবেন। আর নিউজ লেখার জন্য কয়েকজন রিপোর্টার নিযুক্ত করতে হবে। এরপর আপনার নিউজের লাইসেন্স নিয়ে নিতে হবে।
৩. এরপর আপনার অনলাইন নিউজ পেপারে ভিজিটর হওয়া শুরু হলে। আপনি এখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
৪. আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স, স্পন্সর, অন্যান্য অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনাকে প্রথম দিকে এর জন্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
কিন্তু ৬ মাস বা ১ বছর পর আপনি এতে বেশি টাকা মাসে মাসে আয় করতে পারবেন। আপনার কর্মাচারি বেতন, ডোমেইন বিল, হোস্টিং বিল, অফিস থাকলে অফিসের খরচ দেওয়ার পরেও আপনার লাখ টাকা আয় হবে। আজকাল অনেকেই এই ব্যবসা করছে। তারা সফলও হচ্ছে। আপনার হাতে কিছু পুঁজি থাকলে আপনিও শুরু করে দিন।
৯) গেম খেলে টাকা ইনকাম
অনলাইনে এমন অনেক মোবাইল গেম আছে। যা খেলে আপনি আয় করতে পারবেন। এখানে আয়ের পরিমাণটা অনেক কম হলেও ছাত্রদের জন্য এই আয় অনেক কাজে দিবে। গেম খেলে টাকা আয় করার আগে আপনাকে জানতে হবে। কি কি গেম খেলে টাকা আয় করা যায়।
অনেকে মনে করেন গেম খেলে মনে হয় টাকা আয় করা যায়না। কিন্তু এটা একদমই ভুল ধারণা। আপনিও চাইলে অনলাইনে শুয়ে বসে গেম খেলে বিনোদনের পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে যে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়-
উপরের গেমগুলি খেলে আপনি অনায়েসেই টাকা আয় করতে পারবেন। টাকা আয় করার জন্য গেমে ঢুকে সেখানে যা যা বলা হবে। সেই অনুযায়ী গেম খেললেই টাকা আয় করতে পারবেন। সেই টাকা আপনি বিকাশ, রকেট, paytm এ নিতে পারবেন।
১০) এড দেখে টাকা ইনকাম
গেম খেলে টাকা আয়ের পাশাপাশি আপনি এড দেখেও টাকা আয় করতে পারবেন। এটা করা অনেক সহজ কাজ। যেকেউ চাইলেই অনলাইনে এভাবে টাকা আয় করতে পারবে। এভাবে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকাও আয় করা সম্ভব। কি কি ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে এভাবে টাকা ইনকাম করা যায় দেখুন-
এই সকল ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে এড দেখে আপনি সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে এই রকম আরো অনেক অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আর এভাবে টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয়না।
প্রতি মাসে কত টাকা অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব?
আপনি চাইলে অনলাইনে ইনকামের মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। কারণ এখানে প্রচুর কাজ আছে। প্রচুর কাজের উপায় আছে। আপনি যেকোন কাজে দক্ষতা অর্জন করে নিন। তারপর খুব ভালভাবে তা করুন। লেগে থাকুন। পরিশ্রম করুন। খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন সফলতা আসছে। একটা সময় সফল হলে আপনি প্রতিমাসে ১ লাখ টাকার উপরে আয় করা শুরু করবেন।
শেষকথা
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়ের অনেক মাধ্যম আছে। কিন্তু এর মধ্যে উপরের উপায়গুলির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আয় করতে পারবেন। আর অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে ইনকাম করার আগে ভালোভাবে কাজ করা জানতে হবে ও শিখতে হবে। তাহলেই অনলাইনে সাফল্য সম্ভব।
অবশ্যই পড়ুনঃ