আপনি কি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। তাহলে জেনে নিন মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে। এই ওয়েবসাইটগুলি থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর কোন কোন উপায়ে আপনি সেই ওয়েবসাইটগুলি থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তা এই ব্লগ পড়ে জানতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়ের শেষ নেই। আপনি চাইলে হাজারো উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে সঠিক উপায়ে ইনকাম করা জানতে হবে। আর জানতে হবে কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে সহজে ইনকাম করা যায়। আর সেটা যেন হয় ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে।

কিভাবে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে হয়

আপনার যদি কোন স্মার্টফোন থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ আজকাল মোবাইল ফোন দিয়েই প্রায় সকল কাজই করা যায়। আর অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে ছবি বা ভিডিও এর দরকার হয়। এটা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে খুব সহজেই করা যায়। এছাড়া মোবাইলের প্রসেসর আজকাল অনেক উন্নত হয়েছে। আর ফলে মাল্টি টাস্কিং করলেও এর স্পীড কমেনা। মোবাইলে আপনি ঘরে বসে, এমনকি শুয়ে শুয়ে কাজ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে। ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউবে ভিডিও করা, ছবি তুলে আয় সহ নানা ধরনের কাজ ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে করা যায়। আর আয় করার পর সেই টাকা খুব সহজেই হাতে পাওয়া যায়।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট

আমরা জানি যে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমাদের জানতে হবে কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে এই ইনকাম করা যাচ্ছে। এখানে আমরা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সেরা ১৫টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানব। এই ওয়েবসাইটগুলি থেকে খুব সহজে আয় করা যাবে। আমরা যারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। তারা জেনে নেই কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে এই ইনকাম হবে।

১) ব্লগার (Blogger.com)

Blogger.com হল ব্লগ লেখার একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে ফ্রিতে ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগারের এর মাধ্যমে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কারণ, এখানে ওয়েবসাইট খুলতে কোন টাকা লাগেনা। ব্লগারে সহজে ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়।

ব্লগার থেকে ইনকাম করার উপায়ঃ

এখানে আপনি কোন প্রকার হোস্টিং খরচ ছাড়াই। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। পরবর্তিতে সেই ওয়েবসাইটে শুধু ডোমেইন সংযুক্ত করে নিতে হবে।

ব্লগারের নিজস্ব থীম আছে ওয়েবসাইটের জন্য। এই থীমগুলির সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রোফেশনাল করতে পারবেন।

ব্লগারের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে ব্লগ লিখে। আপনি এতে গুগল এডসেন্স, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ

২) ইউটিউব (Youtube.com)

ইউটিউবের নাম আমরা সবাই জানি। এখানে আমরা প্রতিনিয়িত ভিডিও দেখে থাকি। ইউটিউবে নানা ধরনের ভিডিও থাকে। যেমন- ফানি, শিক্ষামূলক, খবর, টেক ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই ইউটিউবের মাধ্যমে খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন।

আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে ভিডিও করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা আয় করা যায়। কারণ আপনার ইউটিউব চ্যানেল একবার উন্নতি করলে ও আপনি মান সম্মত ভিডিও দিতে থাকলে এখান থেকে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম হয়।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হয়

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি দেখে নিন-

১. প্রথমে মোবাইলের ইউটিউব অ্যাপ থেকে ইউটিবে ঢুকতে হবে। এরপর ইউটিউবে আপনাকে একটি চ্যানেল খুলতে হবে।

২. আপনাকে যেকোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে সেই চ্যানেলে আপলোড দিতে হবে। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই আপনার ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন। আর মোবাইল দিয়েই তা এডিট করতে পারেন। এরপর একের পর এক ভিডিও আপনাকে চ্যানেলে আপলোড করতেই থাকতে হবে।

৩. ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হলে আপনি ইউটিউবে মনিটাইজেশন এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। মনিটাইজেশন অ্যাপ্রুভ হলে আপনি গুগল এডসেন্সের এড আপনার ভিডিও দেখাতে পারবেন।

৪. এভাবে আপনার ভিডিও যত বেশি মানুষ দেখবে। আপনার তত বেশি ইনকাম হবে।

৫. আপনি চাইলে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও বানিয়েও আয় করতে পারবেন।

৬. আপনার আয়কৃত টাকা ইউটিউব প্রতি মাসে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে। ইউটিউবের মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করার পাশাপাশি অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সরশীপের মাধ্যমেও মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৩) শপিফাই (Shopify.com)

এটি একটি ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম। শপিফাই এর মাধ্যমে যেকোন ইকমার্স ওইয়েবসাইট খুব সহজেই বানানো যায়। এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট বিল্ডার এর সাহায্যে অনেক হাইকোয়ালিটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আর এর ওয়েবসাইটের গতি অনেক ভাল হয়। যার ফলে শপিফাই ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর হয়ে থাকে। আর তাই এখানে পন্য বিক্রি করা অনেক সহজ হয়ে থাকে।

শপিফাই এর মাধ্যমে আপনি নিজস্ব পন্য বিক্রি করে আয় করার পাশাপাশি ড্রপশিপিং এর মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।

 

৪) এসইও ক্লার্কস (seoclerk.com)

এটি হল একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি একজন ভাল কন্টেন্ট রাইটার, প্রোগ্রামার বা ভাল ডিজাইনার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এসইও ক্লার্কস এর মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এখানে সহজ কাজ। যেমন- ডাটা এন্ট্রি, ভার্টুয়াল এসিস্টেন্ট এর মত সহজ কাজের অনেক বেশি চাহিদা। তবে এখানে সবথেকে বেশি এসইও কাজ এর কাজ পাওয়া যায়।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সেরা ১৫টি ওয়েবসাইট

এসইও মানে হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ কোন একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে নিয়ে আসা। এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন। আর প্রতি মাসে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। আপনি আপনার আয়কৃত টাকা এখান থেকে খুব সহজে আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

৫) দারাজ (Daraz.com)

ডারাজ হল একটি ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রায় সব ধরনের পন্য কেনার জন্য পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এখানে সেলার হয়ে আপনার নিজস্ব পন্য বিক্রি করতে পারন। ডারাজে আপনি খুব সহজেই একজন লাভবান সেলার হতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে পন্যের গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। আর কম লাভ করতে হবে। তাহলে আপনার পন্য অনেক বেশি বিক্রি হবে। আর ডারাজকে যেহেতু মানুষ বিশ্বাস করে। সেহেতু এখান থেকে

আপনি সহজেই পন্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। ডারাজে পন্য বিক্রি করে ইনকাম করার পাশাপাশি অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৬) থিম ফরেস্ট (Themeforest.net)

আপনি যদি একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে থিম ফরেস্ট এর মাধ্যমে আপনি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি এখানে যেকোন ওয়ার্ডপ্রেস থীম, প্লাগিন, Html টেমপ্লেট বানিয়ে তা এখানে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া এখানে আপনি শপিফাই থীম, ইমেইল টেমপ্লেট ইত্যাদি বিভিন্ন সিএমএস টেমপ্লেট বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখানে যে কি পরিমাণ প্রডাক্ট বিক্রি হয়। তা এখানে প্রবেশ না করলে জানা সম্ভব না। আর আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে এখানে প্রডাক্ট বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

৭) ফেসবুক (Facebook.com)

ফেসবুকের মাধ্যমে যে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। তা চিন্তারও বাইরে। ফেসবুক অনেক মানুষের বেকার সমস্যার নিরসন করেছে। শুধু তাই নয়, অনেকে ফেবুকের মাধ্যমে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।

কি কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়ঃ

১. ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে, তাতে এড লাগিয়ে।

২. রিলস বা শর্ট ভিডিও বানিয়ে, তাতে এড দেখিয়ে।

৩. ভিডিওতে অ্যাফেলিয়েট লিংক ব্যবহার করে।

৪. ভিডিও কন্টেন্টে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।

৫. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে।

৬. ফেসবুক পেজে ব্লগিং ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে।

আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৮) পিওপল পার আওয়ার ( (People per hour)

এটাও একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার জন্য এটি একটি অন্যতম মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোন কাজে খুব ভালভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে এখান থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়।

যেমন- ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি। এই মার্কেটপ্লেসে অনেক সহজ কাজ মোবাইলে করে ভাল কিছু করা সম্ভব। এখানে প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করা বিষয় নয়।

৯) ডিপোজিট ফটোস (Depositspotos.com)

আপনি যদি খুব ভাল ছবি তুলতে পারেন। তাহলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে। এই ওয়েবসাইটে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এখান থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে এখানে একাউন্ট খুলতে হবে।

এরপর আপনার তোলা ছবিতে টাইটেল, ট্যাগ ও বর্ণনা সেট করে আপলোড করতে হবে। আপনাকে ধীরে ধীরে অনেক ছবি আপলোড করতে হবে। যখন কেউ আপনার ছবি সেই ওয়েবসাইটে টাকা দিয়ে কিনবে। তখন আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে। আপনি যত বেশি ছবি তুলবেন। আপনার আয় তত বেশি হবে। আপনার আয় করা টাকা আপনি খুব সহজেই আপনার হাতে পাবেন এখান থেকে।

১০) অ্যামাজন (amazon.com)

অ্যামাজন এর নাম শোনে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ইকমার্স মার্কেটের এদের অবস্থান শীর্ষে। অ্যামাজন থেকে অনেকভাবে আয় করা সম্ভব।

যেসকল উপায়ে অ্যামাজন থেকে ইনকাম করা সম্ভব-

১. অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করেঃ আপনি অ্যামাজন থেকে বিভিন্ন প্রডাক্টের অ্যাফেলিয়েট লিংক নিয়ে। সেটি আপনার ওয়েবসাইট, পেজ ইত্যাদির মাধ্যমে মার্কেটিং করে প্রডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এভাবে অ্যামাজনে শুধুমাত্র অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব।

২. ড্রপশিপিং করেঃ এটাও এক ধরনের মার্কেটিং করে ইনকাম। এর মাধ্যমে আপনাকে যেকোন প্রডাক্ট নিয়ে বিক্রি করে তার পুরো লাভটাই করে নেওয়া সম্ভব। এতে আপনাকে শিপিং এর কোণ ঝামেলায় পড়তে হবেনা। অ্যামাজন আপনার সকল কাজ করে দিবে। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আগে এটা সম্বন্ধে ভালভাবে জানতে হবে।

৩) অ্যামাজনে সার্ভার বানিয়ে ও ওয়েবসাইট বানিয়েঃ আপনি যদি খুব ভাল ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে Amazon AWS, Amazon Lightsail এর কাজ পাবেন। বৈশ্বিক বাজারে এই কাজগুলির ব্যপক চাহিদা।

৪) Amazon Kindle এর মাধ্যমেঃ আপনি যদি খুব ভাল লিখতে পারেন। তাহলে এখানে আপনার সেই লেখা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

৫) Amazon appstore এর মাধ্যমেঃ আপনি যদি খুব ভাল অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে অ্যামাজন অ্যাপস্টোরে আপনার অ্যাপ সেট করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এভাবে আয়কৃত টাকা অনেক বেশি পরিমাণের।

১১) ফ্লিপা (Flippa.com)

এটা খুবই জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি যেকোন ডিজিটাল প্রডাক্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনার কাছে খুব ভাল মানের একটি ডোমাইন কেনা আছে। আপনি সেই ডোমেইনটি ফ্লিপার মাধ্যমে অনেক চড়া দামে বিক্রি করতে পারবেন। আবার এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট, অ্যাপ, এডসেন্স ইত্যাদি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে নিয়মিত প্রডাক্ট বিক্রি করতে পারলে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া সম্ভব।

১২) আপওয়ার্ক (Upwork.com)

আপওয়ার্ক হল পৃথিবীর সবথেকে সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লসে। এখানে অনেক হাই বাজেটের কাজ পাওয়া যায়। আর এখানকার অধিকাংশ বায়ার আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি উন্নত দেশের।

আপনি এই মার্কেটপ্লসে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি ডাটা এন্ট্রির মত সহজ কাজগুলি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আপওয়ার্ক ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা হাতে পাওয়া যায়।

১৩) ফাইবার (Fiverr.com)

ফাইবার হল খুবই ভাল একটি ফিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে বহু ফ্রিল্যান্সার ফাইবারে কাজ করে। ফাইবারে কাজ করার জন্য গিগ তৈরি করতে হয়। বায়ার আপনার গিগ পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিবে।

এখানে কাজের ব্যপকতা অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সিং প্রায় সকল ধরনের কাজ ফাইবারে পাওয়া যায়। ফাইবার থেকে পেওনারের মাধ্যমে বিকাশে টাকা হাতে পাওয়া সম্ভব।

১৪) পন্ড ফাইভ (Pond5.com)

আপনি যদি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করতে চান। তাহলে এটি হবে একটি চমৎকার ওয়েবসাইট। অসাধারণ এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে আপনি ছবি আপলোড ছাড়াও, ছোট মিউজিক, SFX, After Effects ইত্যাদি বিক্রি করে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখান থেকে ছবি বিক্রি করে আয় করা সবথেকে সহজ। আপনি চাইলে এখনি সাইন আপ করে ইনকাম করা শুরু করে দিন।

১৫) ফ্রিল্যান্সার (Freelancer.com)

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান। তাদের জন্য আরো একট অসাধারণ ওয়েবসাইট হল ফ্রিল্যান্সার। এখানে কাজের বাজেট অনেক ভাল থাকে আপনি চাইলে এখান থেকে ডাটা এন্ট্রি, টাইপিং এর মত সহজ করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া এখানে ডিজাইন, গ্রাফিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদির কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে খুব সহজে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা হাতে পাওয়া যায়।

শেষ কথা

অনলাইনে নানা উপায়ে টাকা আয় করা সম্ভব। তবে আপনি যেটাই করেননা কেন। তা সততা ও আপনার স্কিলের মাধ্যমে করতে হবে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন। আর কোন কাজ করার আগে তা ভালভাবে শিখে তারপর করবেন। এতে করে আপনার ইনকাম নিশ্চিত হবে। উপরের এই সকল ওয়েবসাইটগুলি সম্বন্ধে জেনে আপনিও অনলাইনে কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ

পোস্টটি শেয়ার করুন-