হেডিং ট্যাগ, হেডার ট্যাগ নামেও পরিচিত। একটি আর্টিকেলকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
হেডিং বা হেডার ট্যাগ দেখে বা পড়ে সহজেই পাঠক একটি আর্টিকেলে সম্পর্কে ধারণা পায়।
এটি মূলত ওয়েবসাইটের html ট্যাগ। হেডার ট্যাগ গুলি হলঃ H1, H2, H3, H4, H5, H6. এদের মধ্যে H1 ট্যাগের লেখাগুলি সবথেকে বড় হয়।
H6 ট্যাগের লেখাগুলি সবথেকে ছোট হয়।
একটি আর্টিকেলের সঠিক কাঠামো তৈরিতে হেডার ট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ট্যাগের মাধ্যমে একটি কনটেন্টকে সঠিকভাবে সাজানো হয়।
হেডিং ট্যাগ না থাকলে একটই পাঠকের জন্য ব্লগ পড়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রতিটি প্যারার আগে একটি হেডার ট্যাগ দিয়ে শুরু করলে পাঠক সহজে লেখা বুঝতে পারে। আর এটা গুগলকে কন্টেন্ট বুঝতে সাহায্য করে থাকে।
তাই বলা যায়, ব্লগের সঠিক এসইও ফ্যাক্টর হিসেবে এই ট্যাগ খুবই গুরত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে হেডার ট্যাগ ব্যবহারের ফলে ব্লগ স্ট্রাকচারাল হয়।
আর এই হেডিং ট্যাগে এ ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহারে গুগল সহজে লেখা বুঝতে পারে ও আর্টিকেলে র্যাংক করে। নিচে থেকে দেখে নিন কিভাবে হেডিং ট্যাগ লিখতে হয়।
কিভাবে হেডিং ট্যাগ লিখতে হয়
একটি ব্লগ বা আর্টিকেলে হেডিং ট্যাগ সিরিয়ালি লিখতে হবে। এক্ষেত্রে H1 সর্বপ্রথমে থাকে। এরপর H2 লিখতে হয়।
আর H2 এর নিচে H3 ট্যাগ লিখতে হয়। একটি ব্লগের টাইটেলটি মূলত H1 ট্যাগের হয়ে থাকে।
আর একটি ব্লগে একটি মাত্র H1 ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়।
এরপর ব্লগের ভেতর H2 ট্যাগ দিয়ে কোন প্যারা শুরুতে টাইটেল দিতে হয়।
H2 টাইটেলটি H3 এর থেকে বেশি গুরত্বপূর্ণ। তাই H2 আগে এরপর H3, H4 ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার করার হয়ে থাকে।
প্রতিটি H2 ও H3 ট্যাগে ব্লগের কিওয়ার্ড থাকলে সেই ব্লগ খুব ভালো র্যাংক করে।
একটি হেডিং এর আন্ডারে যে প্যারা থাকবে, তা ৩০০ শব্দের বেশি হওয়া যাবেনা।
আর্টিকেলে লিখে আয় করতে আর্টিকেলে হেডিং ট্যাগ এর ব্যবহার জানতে ভিডিওটি দেখুন।
হেডার ট্যাগ এর উদাহরণ
মনে করুন আপনি একটি ব্লগ লিখা শুরু করলেন। সেই ব্লগের টাইটেল হল- প্রাকৃতিকভাবে চুল ঘন করার উপায়।
এখানে এই টাইটেলটি হল- H1 ট্যাগ।
এরপর আপনি ব্লগে ভূমিকা লিখলেন। তারপর একটি বাক্য লিখলেন যে, কেন মানুষের চুল পড়ে। সেটি হবে H2 ট্যাগ।
এরপর নিচে আরো কিছু লিখলেন। তারপর চুল পড়ার কারনগুলি লিখলেন।
নিয়মিত চুল না আচড়ানোর জন্য।
এটা হবে H3 ট্যাগ। এরপর কিছু বর্ণনা দিলেন। আবার পয়েন্টগুলি উল্লেখ করলেন।
এই সকল পয়েন্ট হবে H3 ট্যাগের আন্ডারে। এরপর আরো একটি H2 ট্যাগের কিছু লিখলেন।
এরপর এর আন্ডারে H3 ট্যাগের কিছু লিখলেন। এভাবে হেডিং ট্যাগগুলি পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে লিখতে হবে।
কখনোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ টাইটেলে H3 আর কম গুরুত্বপূর্ণ টাইটেলে H2 লেখা যাবেনা।
হেডিং গুরুত্ব অনুসারে পর্যায়ক্রম হল- H2, H3, H4, H5, H6।
“প্রাকৃতিকভাবে চুল ঘন করার উপায়” ব্লগটির হেডিং ট্যাগ লেখার পর্যায়ক্রম হল-
প্রাকৃতিকভাবে চুল ঘন করার উপায় (H1)
ভুমিকা
কেন মানুষের চুল পড়ে (H2)
কিছু বর্ণনা
নিয়মিত চুল না আচড়ানোর জন্য (H3)
কিছু বর্ণনা
নিয়মিত গোসল না করার ফলে (H3)
কিছু বর্ণনা
পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার জন্য (H3)
কিছু বর্ণনা
যেভাবে চুল ঘন করা যায় (H2)
কিছু বর্ণনা
সঠিক লাইফ স্টাইল ফলো করলে (H3)
কিছু বর্ণনা
ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করলে (H3)
কিছু বর্ণনা। যেসকল শ্যাম্পু যেভাবে ব্যবহার করতে হবে
প্যান্টিন (H4)
কিছু বর্ণনা
ডাভ (H4)
কিছু বর্ণনা
ট্রেসেমি (H4)
কিছু বর্ণনা
উপসংহার (H2)
শেষকথা
একটি আর্টিকেল লিখতে হেডিং ট্যাগ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
আর এর সঠিক ডিস্ট্রিবিউশন অনুযায়ী ব্লগটি লিখতে হবে। আশাকরি আপনারা হেডার ট্যাগ সম্পর্কে খুবই ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন ও শিখতে পেরেছেন।
আপনি যদি আপনার আর্টিকেলটি সহজে গুগলে র্যাংক করাতে চান, তাহলে এর হেডার ট্যাগ খুব ভালো করে ব্যবহার করতে হবে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট