আমাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যকেই খুশকি সমস্যায় ভুগে থাকি। খুশকি হল ছোট ছোট সাদা বর্নের এক ধরনের ময়লা। যা সমস্ত মাথার চুলে ও স্ক্যাল্পে হয়ে থাকে। এর ফলে মাথার তালুতে বা স্ক্যাল্পে চিটচিট করে ও যন্ত্রণা হয়। এছাড়া এর ফলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। নানা কারণে চুলে খুশকি হতে পারে। তবে এটি প্রাকৃতিকভাবে দূর করা সম্ভব।
কি কি কারণে খুশকি হতে পারে?
১। মাথার চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে।
২। নিয়মিত গোসল না করার ফলে।
৩। ধুলাবালি ও ময়লা আবহাওয়া যুক্ত পরিবেশে নিয়িমিত গেলে।
৪। নিম্ন মানের শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে।
৫। অতিরিক্ত খেলাধুলা ও দৌড়ানোর ফলে।
৬। নিয়মিত চুল না আচরানোর ফলে।
৭। দুশ্চিন্তা ও বিভিন্ন মানসিক রোগ থেকে।
৮। চুলে নিয়মিত প্রয়োজিনীয় তেল ব্যবহার না করার ফলে।
৯। মাথার চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে।
প্রাকৃতিকভাবে খুশকি দূর করা উপায় কি?

১। আদার রস, লেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেল
৪ চামচ আদার রস,একটি সম্পুর্ণ লেবুর রস, ১ চামচ অ্যালভেরা জেল, আধা চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ চামচ নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে এই তেলটি গোসল করার ১ ঘন্টা আগে মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। খেয়াল করতে হবে, এটা চুলে দেওয়ার আগে চুল ভালভাবে আচরিয়ে নিতে হবে। মাথার স্ক্যাল্পে দেওয়ার পর ভালভাবে মাথার চুলের উপর দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর কোন ভাল প্রাকৃতিক শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা সপ্তাহে ৩ দিন করলেই যথেষ্ট। খুবই ভাল ফল পাওয়া যাবে।

২। নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল
৫ চামচ নারিকেল তেল ও ২-৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে এই তেলটি মাথার চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি সমস্ত মাথার তালুতে ভালভাবে ম্যাসাজ করা হয়। এবার ২ ঘন্টা এটি মাথার চুলে রেখে দিতে হবে। এরপর এটি হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে হবে।
চুলকে খুশকিমুক্ত রাখতে কি কি করেত হবে?
১। মাথার চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
২। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। এতে করে চুলে খুশকি বেড়ে যাবে। সপ্তাহে ৪ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভাল।
৩। নিম্ন মানের শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
৪। চুল নিয়মিত আচরাতে হবে। চুলের জন্য মোটা ডটের চুরুনি ব্যবহার করতে হবে।
৫। ধুলাবালি ময়লা আবহাওয়া যুক্ত এলাকায় গেলে ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
৬। মোটর সাইকেলে চালানোর সময় হেলমেট পড়তে হবে।
৭। দুশ্চিন্তা সমস্যা থাকলে তা ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৮। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে চুলকে নিরাপদে রাখতে হবে।
৯। ভিটামিন, বায়োটিন ও জিংক সম্মৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।
১০। বেশি করে পানি খেতে হবে ও শাক সবজি, ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।