মানুষের শরীরের বগল এমন এক অবস্থায় থাকে যে, সেটা সব সময় চিপাতে থাকে ও সেখানে প্রচুর ঘাম হয়। যার ফলে সেই স্থানটি কালো হয়ে যায়। এছাড়া বগল কালো হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে বগলের কালো দাগ খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করা যায়।
কি কি কারণে মানুষের শরীরের বগলে কালো দাগ হতে পারে?
১। ঘাম ও ঘাম পরিষ্কার না করাতে সেখানে ব্যাকটেরিয়া থেকে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
২। বিভিন্ন বডি স্প্রে ও ডিওডরেন্ট ব্যবহারের ফলে।
৩। অনেক বগল সেভ করার জন্য সেভিং ফোম বা ক্রিম ব্যবহারের ফলে।
৪। আটসাটো পোশাক পরিধানের জন্য।
৫। অতিরিক্ত ধুমপানের ফলে এমনটা হতে পারে।
৬। এছাড়াও বিভিন ব্যাকটেরিয়াল সমস্যা থেকে বগলে কালো দাগ হতে পারে।
৭। এ ছাড়াও আরো নানা কারণে বগলে কালো দাগ হতে পারে।
বগলের কালো দাগ দূর করতে প্রকৃতিকভাবে কি করা যেতে পারে?
লবণ, বেকিংসোডা, টুথপেস্ট, লেবুর রসের পেস্ট
বগলের চুল কোন প্রকার সেভিং ক্রিম ছাড়াই শুধুমাত্র অ্যালোভেরা জেল দিয়ে সেভ করে নিতে হবে। এরপর একটি বাটিতে ২ চামচ লবণ, ১ চামচ বেকিং সোডা, কিছূটা সাদা টুথপেস্ট, কিছূটা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর একটি লেবুর খোসাতে এই পেস্ট লাগিয়ে স্ক্রার্ব করতে হবে। ২ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে বগলের সকল মরা কোষগুলি দূর হয়ে যাবে। এটা সপ্তাহে ১ দিন করে করলে বগলের কালো দাগ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। আর প্রথম করাতেই আপনি পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। কালো দাগ প্রায় পুরোটাই উঠে যাবে।
বগলের কালো দাগ দূর করতে নিয়মিত কি করতে হবে?
১। সবসময় ঢিলাঢালা পোশাক পড়তে হবে।
২। বাইরে থেকে এসে সংগে সংগে বগল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
৩। বগলে কখনোই ডিওডরেন্ট ব্যবহার করা যাবে না।
৪। বগলে সেভিং ক্রিম বা ফোম ব্যবহার করা যাবে না।
৫। ধুমপান ত্যাগ করতে হবে।
৬। প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর বগলের চুল পরিষ্কার করতে হবে।
৭। বগলে সরাসরি বডি স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না।