ডোমেইন কি?

ডোমেইন হল একটি ওয়েবসাইটের নাম।

কোথায় এই ডোমেইন পাওয়া যায়?

একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন বিভিন্ন ডোমেইন প্রভাইডার ওয়েবসাইট থেকে কিনে নিতে হয়। যেমনঃ গোড্যাডি, নেমচিপ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডোমেইন বিক্রি করে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে ১ বছররের জন্য বা তার বেশি বছরের জন্য আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন কিনতে পারবেন।

কেন ডোমেইনের প্রয়োজন?

আপনি যদি মনে করেন যে আপনি একটি ওয়েবসাইট বানাবেন, তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ডোমেইনের প্রয়োজন হবে। কারণ ডোমেইন হল আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি। কারণ তখন মানুষ আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইটটি পাবে। যেমন প্রথমআলো ওয়েবসাইটটির ডোমেইন নাম হলঃ prothomalo.com। আবার ফেসবুকের ডোমেইন নাম হল facebook.com।

ডোমেইনের নাম কেমন হয়ে থাকে?

আমরা সাধারণত ডোমেইনের নাম বলতে .com কেই বুঝি। .com ছাড়াও .net, .online, .me, .info ইত্যাদি নামেরও ডোমেইন হয়ে থাকে।

কিভাবে ডোমেইন কিনতে হয়?

ডোমেইন কেনার জন্য প্রথমে ডোমেইন যারা দেয় তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এরপর আপনি যে নামে ডোমেইন কিনতে চান তার সাথে .com বা .net এই রকম এক্সটেনশন যুক্ত করে সার্চ করতে হবে। ডোমেইনটি থাকলে আপনি সর্বনিম্ন ১ বছরের জন্য ডোমেইনটি কিনতে পারবেন। বিদেশি ওয়েবসাইট হলে আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। আর দেশি ওয়েবসাইট হলে আপনি বিকাশ বা নগদ বা রকেটের মাধ্যমে কিনতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের সাথে ডোমেইন কিভাবে সংযুক্ত করতে হয়?

একটি ডোমেইনের নেম সার্ভারের সাথে ওয়েবসাইটটির সার্ভার বা হোস্টিং যুক্ত করে এটি করতে হয়।

হোস্টিং কি?

হোস্টিং হল একটি ওয়েবসাইটের সকল কিছু সংরক্ষিত রাখার স্থান। একটি ওয়েবসাইটের ভেতর যত ছবি, লেখা, ভিডিও থাকে, তার সকল কিছু এই হোস্টিং এ রাখতে হয়। একটি মোবাইলের যেমন প্রসেসর, মেমোরি, র‍্যাম ইত্যাদি থাকে, ঠিক তেমনি হোস্টিং এরও এই রকম সকল কিছু থাকে। এক কথায় হোস্টিং একটি কম্পিউটারের মত কাজ করে। যার ভেতরে ওয়েবসাইটটি থাকে। একটি হোস্টিং এর র‍্যাম যত বেশি হয়, প্রসেসর যত ভাল হয়, ডিস্ক যদি এস এস ডি হয়, তাহলে সেই ওয়েবসাইটটি তত বেশি গতি সম্পন্ন হয়।

কোথায় এই হোস্টিং পাওয়া যায়?

বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন মুল্যে অনলাইনে হোস্টিং বিক্রি করে থাকে। যেমনঃ অ্যামাজন, গোড্যাডি, নেমচিপ, ডিজিটাল ওশান ইত্যাদি কোম্পানি বিভিন্ন দামে বিভিন্ন প্রকার হোস্টিং বিক্রি করে থাকে। এই হোস্টিংগুলি তার মাসিক বা বাৎসরিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে থাকে। হোস্টিং এর দাম প্রতিমাসে ৩০০ টাকা ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

কি কি প্রকারের হোস্টিং রয়েছে?

১। শেয়ার্ড হোস্টিং

২। ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং

৩। ভিপি এস হোস্টিং

৪। ক্লাউড হোস্টিং

৫। ডেডিকেটেড হোস্টিং

এই হোস্টিং গুলির মধ্যে শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম কম হয়। আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর দাম অনেক বেশি হয়।

কিভাবে একটি ওয়েবসাইটকে হোস্টিং এ যুক্ত করতে হয়?

হোস্টিং কেনার পর এর ভেতরেই ওয়েবসাইটটি বানাতে হয়। এরপর এই ওয়েবসাইটের সাথে ডোমেইন যুক্ত করে দিলেই ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে চলে।