বর্তমানে বাজারে নকল ও ভেজাল ডিমে ছয়লাব হয়ে গেছে। তবে আমরা যারা সাধারণ ক্রেতা, তারা সহজে এই নকল ডিম দেখে বুঝতে পারিনা যে, ডিমটি আসল নাকি নকল। তবে ডিম আসল নাকি নকল তা চিহ্নিত করার অঙ্কে উপায় আছে। যা খুব সহজেই
করা যায়।

আগে জানা যাক নকল ডিম কিভাবে তৈরি হয়?

নকল ডিম দেখতে একদম প্রাকৃতিক ডিমের মত। তবে এর ভেতরের সব কিছুই ভেজাল। নকল ডিম ক্যালশিয়াম কার্বনেট, প্যারাফিন ওয়াক্স, জিলেটিন, জিপসাম পাউডার, বেনজয়িক এসিড, ফুড কালার, সোডিয়াম অ্যালজিনেট ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এই ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ডিম নিয়মিত খেলে অনেক বড় ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। তাই আমাদের সকলের সবার আগে নকল ডিম চিনতে হবে। এরপর এটা খাওয়া বর্জন করতে হবে। প্রয়োজনে দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডিম নকল কিনা কিভাবে বুঝব?

১। নকল ডিম দেখতে আসলে ডিমের থেকে অনেক চকচকে হয়ে থাকে।

২। নকল ডিম হাত দিয়ে ঝাকালে শব্দ হবে, কিন্তু আসল ডিমে কোন প্রকার শব্দ হবে না।

৩। নকল ডিম ভাঙ্গার পর এর কুসুম ও সাদা অংশ সহজে আলাদা করা যায় না। তবে আসল ডিমে এর কুসুম খুব সহজেই আলাদা করা যায়।

৪। নকল ডিমে কোন গন্ধ থাকে না। তবে আসল ডিম ভাঙ্গার পর এটা থেকে আঁশটে কাচা মাংসের মত গন্ধ বের হয়।

৫। নকল ডিম কোন বাটিতে রাখলে এতে কোন প্রকার পোকারমাকড়, পিঁপড়া এই ধরনের কোন কিছুর আক্রমণ হয় না, তবে আসল ডিমে পোকা পিঁপড়ার আগমন হয়।

৬। আসল ডিমের খোসা ভাঙ্গলে একটি করাত শব্দ হয়। কিন্তু নকল ডিমে এরকম কোন শব্দ হয়না।

৭। আসল ডিমের খোসায় আগুন জালিয়ে দিলে সহজে তা দ্রাহ্য হয়না, তবে নকল ডিমের খোসাতে আগুন লাগালে তা দাউ দাউ করে জলতে থাকে।

৮। আসল ডিম দেখতে আসলের মতই হয়। তবে নকল ডিম দেখতে কিছুটা লম্বাটে ও এব্রোথেব্রো হয়। তবে আজকাল নকল ডিমের সাইজও আসল ডিমের মত করছে। তাই সাবধান হতে