ফেসবুক ব্যবহার করেনা এই রকম মানুষ আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে। মানুষ এখন নিজেদের স্ট্যাটাস জানান দিতে, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে, ভিডিও দেখে বিনোদন নিতে এমনকি গেম খলেতে ফেসবুক ব্যবহার করে। আর যারা ফেসবুক ব্যবহার করে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে সময় কাটায়। এই ফেসবুক ব্যবহার করে এখন নানা ভাবে আয় করা যাচ্ছে। আর সেই আয় করা টাকার পরিমাণটা অনেক বেশি। এর জন্য সর্বপ্রথম একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। আপনিও চাইলেও ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সঠিক উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে পেজ খুলতে হয়?
১। প্রথমে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে।
২। এরপর menu অপশন থেকে pages এ ক্লিক করতে হবে।
৩। এরপর উপরের বাম পাশের কোনা থেকে create বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪। এরপর get started বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫। এরপর আপনার পেজের নাম, ক্যাটাগরি, bio, website, email, phone number, address, hours, profile picture, cover photos, buttons সব দিয়ে দিতে হবে। এই অপশন গুলি আপনি next বাটন আকারে পেয়ে যাবেন। আপনার যদি কোন website না থাকে তাহলে আপনি সেই অপশনটি খালি রাখতে পারেন। এভাবে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে আপনি ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম আছে। তবে সব ক্ষত্রেই সাধারণত আপনাকে একটি পেজ খুলতে হবে। দেখুন কিভাবে টাকা আয় করা যায়-

১। ভিডিও দেখিয়ে টাকা আয়
আপনি যদি খুব ভাল ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ এখন মানুষ ফেসবুকে সারাদিন ভিডিও দেখে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনি যেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চান, সেই বিষয়ের নামে উপরের নিয়মে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। এরপর আপনাকে সেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে হবে। সেই ভিডিও গুলি আপনাকে ফেসবুক পেজে আপলোড দিতে হবে। এরপর আপনাকে ফেসবুক মনেটাইজেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। মনেটাইজেশন অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ভিডিওতে অ্যাড দেখাবে। আর আপনার ভিডিওতে ভিয় বাড়ার সাথে সাথে আপনার আয় বেড়ে যাবে। এভাবে আপনি মাসে প্রথম দিকে কিছুটা কম আয় করতে পারলেও ভিউ বাড়ার সাথে সাথে আপনার আয় প্রচুর বেড়ে যাবে। আর ফেসবুক থেকে আয় করা টাকা খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তোলা যাবে।
২। ওয়েবসাইটের প্রমোশনের মাধ্যমে
আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টের লিংক ফেসবুক পেজে শেয়ার করে অনেক ভিজিটর পেতে পারেন। কারণ ফেসবুক পেজ থেকে যেকোন পোস্ট খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়। আর আপনার পোস্টে ভিজিটর হলে সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে যেয়ে আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাডে ক্লিক করবে। এতে করে আপনার অনেক বেশি টাকা আয় হবে। আর আপনি ফ্রিতে অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে ফেসবুক পেজটি অনেক পুরাতন হলে ভাল হয়। নতুন পেজে ভিজিটর কিছুটা কম হবে।
৩। অ্যাফেলিয়েট মার্কেটং এর মাধ্যমে
আপনি আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিও ডিস্ক্রিপশনে আপনার অ্যাফেলিয়েট লিংক বসিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া আপনি আপনার ফেসবুক পেজে অ্যাফেলিয়েট লিংক যুক্ত ওয়েবসাইট শেয়ার করে সেই পেজ থেকে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে যেয়েও টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানী অ্যাফেলিয়েট লিংক দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেখান থেকে অ্যাফেলিয়েট লিংক সংগহ করতে পারেন। আর আপনার মাধ্যমে সেই পন্য বিক্রি করে প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন।

৪। ফেসবুকে পন্য বিক্রি করে
আপনি যেকোন পন্য ফেসবুক পেজে দিয়ে সেখান থেকে তা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে যেকোন একটি পন্য, যা কিনতে মানুষ আগ্রহী হবে তা পছন্দ করে সেই পন্যের অ্যাড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দিতে হবে। ফেসবুকে অ্যাড দেওয়া খুবই সহজ। আপনার একটি ক্রেডিট কার্ড থাকলেই আপনি অ্যাড দিতে পারবেন। এভাবে আপনি ১০ ডলার অ্যাডের খাতে, আর ২০ ডলার পন্যের খাতে ইনভেস্ট করলে মিনিমাম ৫০ ডলার আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ ২০ ডলার আপনার লাভ হবে। আপনি যত বশি ইনভেস্ট করবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন। এছাড়া আপনার যদি একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে আপনি ফেসবুক পেজে সেই ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।